ঢাকা: লালগ্রহ মঙ্গলকে ঘিরে মানুষের প্রশ্নের শেষ নেই। গ্রহটি কখনো পৃথিবীর মতো ছিল কি না, মানুষের মতো কোনো প্রানি সেখানেও ছিল কি না, কবে নাগাদ মঙ্গলে মানুষের বসবাস শুরু হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
তবে এবার সম্পূর্ণ আনকোরা এক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাকে। ‘মঙ্গলে চিঠি পাঠাতে কত খরচ পড়বে?’ প্রশ্নকর্তা ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লাইথাম সেন্ট অ্যানস’র বাসিন্দা পাঁচ বছর বয়সী অলিভার গেডিংস।
অলিভার আসলে প্রশ্নটা করেছে যুক্তরাজ্যের ডাকবিভাগকে। কিন্তু রয়্যাল মেইলের এ প্রশ্নের উত্তর জানা ছিল না। তাই দ্বারস্থ হতে হয় নাসার।
জবাবে নাসা যা জানিয়েছে, তাতে অলিভারের পক্ষে চিঠি পাঠানো অসম্ভবই বলতে হবে। শুধু অলিভার কেন, তার বয়সী যে কোনো শিশুর পক্ষেই এ খরচ মেটানো সম্ভব নয়, যদি না কারোর ধনবান পিতামাতা সন্তানের ইচ্ছেপূরণে উদ্যোগী হন।
নাসা বলেছে, মঙ্গলে কেউ চিঠি পাঠাতে চাইলে তাকে গুণতে হবে ১৮ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ লাখ টাকার কিছু বেশি।
অলিভারকে জবাব দেওয়ার সময় রয়্যাল মেইল শুধু মোট অর্থের পরিমাণই জানায়নি, সেই সঙ্গে বিস্তারিত ব্যাখ্যাও দিয়েছে।
ব্রিটিশ রয়্যাল মেইলের কাস্টমার উপদেষ্টা অ্যান্ড্রিউ স্মোট অলিভারকে লিখেছেন, মঙ্গল অভিযানে ব্যবহার মহাকাশযানগুলোর জ্বালানির দাম খুবই চড়া। নাসা আমাকে জানিয়েছে, যানগুলোর আকার খুবই ছোট হয়, ফলে এর স্টোরেজ সবসময়ই প্রিমিয়াম। এ ধরনের স্পেসশিপ তৈরির ক্ষেত্রে ওজন যতো বেশি হয়, মঙ্গলে পৌঁছাতে খরচ ততো বেশি পড়ে। সে হিসাবে সর্বোচ্চ একশ গ্রাম পর্যন্ত যেকোনো কিছু বহনের ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ১৮ হাজার মার্কিন ডলার।
শিশু অলিভারকে বোঝার সুবিধার্থে রয়্যাল মেইল জবাবে আরও লেখে, যে পরিমাণ খরচের কথা বলা হচ্ছে, তা ১৮ হাজার ৪১৬টি প্রথম শ্রেনির ডাকটিকিটের সমান।
চিঠিটি পেয়ে প্রতিউত্তরে মহাকাশচারী হতে চাওয়া অলিভার লিখেছে, মঙ্গলে চিঠি পাঠানো সত্যিই খুব ব্যয়বহুল। তোমাদের অনেকগুলো ডাকটিকিট লাগবে!
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৫
আরএইচ