ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্র ও ভিয়েতনামের মধ্যে পরমাণু জ্বালানি ও প্রযুক্তি বিনিময় বিষয়ক আলোচনা অনেকদূর অগ্রসর হয়েছে। একইসঙ্গে হ্যানয়কে নিজস্ব ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি চুক্তিও এর অর্ন্তভূক্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে মার্কিন কংগ্রেসে এ চুক্তির সমালোচকরা বলেন, নতুন এ চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু রাষ্ট্রগুলির উপর আরোপিত কঠোর বিধিনিষেধের তুলনায় অনেক বেশি সুযোগ করে দিবে। কেননা এচুক্তিতে পরমাণু সহযোগিতার বিনিময়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসুুচি বাতিলের বিষয়টিকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদপত্রটি আরও জানায়, এ আলোচনায় স্নায়ু যুদ্ধের সাবেক শত্রু দেশ ভিয়েতনামকে স্বয়ংসম্পূর্ণ পরমাণু সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি হোয়াইট হাউস এবং সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিকে সংক্ষেপে জানানো হয়েছে।
এ চুক্তির অধীনে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি ও বেকটেল কর্পোরেশনকে ভিয়েতনামে পরমাণু উপাদান এবং পরমাণু চুল্লী বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে বলেও প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
তবে এ বিষয়ে ভিয়েতনামের সঙ্গে সীমান্তের একটি বড় অংশ ভাগাভাগি করা দেশ চীনের পরামর্শ চাওয়া হয়নি বলে এক কর্মকর্তা জানান। শীর্ষ এক মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রটিতে বলা হয়, “এতে চীনকে জড়ানো হয়নি। ”
মার্কিন ওই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলা হয়, “মার্কিন কোম্পানি ও প্রযুক্তিকে ভিয়েতনামে প্রবেশের সুযোগ দিলে সেখান থেকে আমরা কিছু সুবিধা পেতে পারি। কিন্তু আমরা যদি এ চুক্তি থেকে সরে আসলে অন্য কেউ এ সুযোগের সদ্ব্যবহার করবে। ”
এদিকে মার্চে পরমাণু সহযোগিতা বিষয়ে উভয় পক্ষ প্রাথমিক সম্মতিতে পৌঁছেছে বলে ভিয়েতনামের অ্যাটোমিক এনার্জি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ভাং হু তানের বরাত দিয়ে সংবাদপত্রটি জানায়। একইসঙ্গে চলতি বছরের শেষে এ চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে বলেও এ থেকে জানা যায়। তবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা ভিয়েতনামের নেই বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সাম্প্রতিক মাসে এ আলোচনা শুরু হয় বলেও জার্নালটিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০০ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১০