ঢাকা: একদিকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা অন্যদিকে নিরাপত্তা ইস্যু এবং সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের নেতিবাচক প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাওয়া, এমনই পরিস্থিতিতে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি।
এরই মধ্যে নভেম্বরের ০৯ ও ১০ তারিখে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা-সার্ক সম্মেলন।
তবে যোগ না দেওয়ার তালিকা যাই হোক না কেন, সার্ক আয়োজনে বদ্ধপরিকর আয়োজক দেশটি। পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি; কেউ না এলেও সার্ক সম্মেলন করবে তারা।
পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেছেন, কাশ্মীরের উরির ঘটনার সঙ্গে সংযুক্তি রেখে ভারত সার্ক সম্মেলনে আসতে নারাজি দিয়েছে। তবে এটি একই সঙ্গে যুক্তি-ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, পাকিস্তান সবসময় এই অঞ্চলের ঐক্যের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এই আয়োজন মূলত দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জনগণের কল্যাণের জন্য, তাদের কথা তুলে ধরার জন্য, ফলে যা থেকে বিরত থাকা যাবে না।
নাফিস জাকারিয়া বলেন, ১৯তম সার্ক আয়োজনে পাকিস্তান অঙ্গিকারবদ্ধ। সার্কের ছাতাতলে একে অন্যের প্রতি সহযোগিতা আরও সমৃদ্ধ হবে এটিই কাম্য আমাদের। সফলভাবে সার্ক আয়োজন করতে ইতোমধ্যে বর্তমান সার্ক চেয়ার নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হবে, যারা আসতে আগ্রহী সেসব প্রতিনিধিদের দেওয়া হবে পূর্ণ নিরাপত্তা।
উল্লেখ্য, সার্কের নিয়ম অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের এ জোটের সব সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে নিতে হয়, অর্থাৎ শীর্ষ সম্মেলনে কোনো একটি দেশের প্রধান অনুপস্থিত থাকলে শীর্ষ সম্মেলন হতে পারে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৬
আইএ