ঢাকা: শেষ পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ঠিকই হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (নভেম্বর ০৮) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারিকে হারানোর জন্য প্রয়োজনীয় ইলেক্টোরাল কলেজ ইতোমধ্যেই ঝুলিতে পুড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তবে ট্রাম্পবিরোধীদের কাছে বিষয়টি এতটাই অপ্রত্যাশিত যে তারা একে ‘ট্রাম্পকোয়াক’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
এ পরিস্থিতিতে দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন অনেক ট্রাম্প বিমুখ মার্কিনী। তাদের প্রথম পছন্দ উত্তরের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কানাডা। ট্রাম্পের বিজয় স্পষ্ট হয়ে উঠতেই সেখানে বসবাস, ভিসা কিংবা ইমিগ্রেশনের খোঁজখবর নিতে দেশটির ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে ঢু মারতে শুরু করেন অনেকেই। ভিজিটরদের চাপে এক পর্যায়ে ক্রাশ করে তাদের ওয়েবসাইট।
অনেকে ক্রাশ হওয়া সেই ওয়েবসাইটের ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন। অবশ্য এটা ঠিক পরিষ্কার নয় যে ট্রাম্পের বিজয়ের সঙ্গেই ওই ওয়েবসাইট ক্রাশের কোনো সম্পর্ক আছে।
তবে সাধারণত প্রতিটি মার্কিন নির্বাচনের সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের দেশত্যাগের একটি প্রবণতা দেখা যায়। মূলত হতাশা ও নিজ পছন্দের প্রার্থীর পরাজয় মেনে নিতে না পেরেই দেশত্যাগে উদ্বুদ্ধ হন অনেক মার্কিনী।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে কানাডার ইমিগ্রেশন সাইট ক্রাশের খবর দিয়ে টুইট করেন অনেক মার্কিন সেলিব্রিটিও।
কমেডিয়ান বেন সোয়ার্টজ তার টুইটে বলেন, ‘আমি ঠাট্টা হিসেবে উল্লেখ করতে চাইলেও বিষয়টি সত্যি, রাত আটটায় কানাডার সিটিজেনশিপ এবং ইমিগ্রেশন সাইট ক্রাশ হয়েছে। ’
এদিকে সোস্যাল মিডিয়ায় আবার এর পাল্টা প্রবণতাও দেখা গেছে। অনেক উৎসাহী ট্রাম্প সমর্থক ট্রাম্প হারলে রাশিয়া চলে যাওয়ার ইচ্ছাও পোষণ করেছেন । যদিও ট্রাম্প জেতায় শেষ পর্যন্ত তাদের আর রাশিয়া যেতে হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
আরআই