স্থানীয় সময় শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ওয়াশিংটন যাওয়ার পথে এয়ারফোর্স ওয়ানে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে স্বল্প সময় কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এ সময় ট্রাম্প বলেন, আমরা আইনি লড়াইয়ে জিতবোই।
ট্রাম্প বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে ফেডারেল আদালতের স্থগিতাদেশ হয়ত সুপ্রিম কোর্টে টেনে নেওয়া যায়। কিন্তু আমাদের কাজের তালিকায় সেটি নেই। নতুন আদেশ জারিই হতে পারে উত্তম উপায়।
অতি দ্রুতই হোয়াইট হাউস সে পথে হাঁটবে বলেও ইঙ্গিত দেন প্রেসিডেন্ট। বলেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে আগের জারি করা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আদেশের মতোই সামান্য পার্থক্যে নতুন আদেশ জারি হবে।
এদিকে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদসম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই নিরাপত্তা ইস্যুতে ‘অতিরিক্ত নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সবশেষ সাত মুসলিম দেশের নাগরিকের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় আপিল আদালত। আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মতভাবে পূর্বের স্থগিতাদেশই বহাল রাখেন। এর ফলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর করার পথ বন্ধ হয়।
এর আগে এক নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সিয়াটলের একজন বিচারক সে আদেশ স্থগিত করেন। পরে সেই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আপিল আদালতে গেলে সেখানেও স্থগিতাদেশ বহাল হয়। এর ফলে ইরাক, ইরান, সিরিয়া, লিবিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে কোনো বাধা থাকলো না।
স্থগিতাদেশে বিচারকদের ওপর ক্ষুব্ধ ট্রাম্প টুইটারে লেখেন, নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু হলে ওই সব বিচারক ও বিচারব্যবস্থা দায়ী থাকবে।
**মুসলিম নিষেধাজ্ঞায় ট্রাম্পের আদেশ কেন্দ্রীয় আদালতেও স্থগিত
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
আইএ