মাসখানেক আগে জয়ললিতার মৃত্যুর পর এতদিনের দৃশ্যপটে দলের রাশ ছিলো শশীকলার হাতেই। জয়ললিতার বিলাসবহুল বাসভবন পোয়েস গার্ডেন সহ দলের সাধারণ সম্পাদক পদের নিয়ন্ত্রণ তিনি নিয়ে নেন অনায়াসেই।
দলের পাশাপাশি তামিলনাড়ুর ক্ষমতার রাশও নিজের হাতে নিতে তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেখানে বাদ সাধেন দলেরই অপর শীর্ষ নেতা, জয়ললিতার মৃত্যুর পর কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা ও পনিরসেলভাম। পনিরসেলভামকেও জয়ললিতার অন্যতম বিশ্বস্ত ও কাছের লোক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শশীকলা যখন সাড়ম্বরে তামিলনাড়ুর ক্ষমতায় আসীন হওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকেন, তখন হঠাৎ করেই বেঁকে বসেন পনিরসেলভাম। মেরিনা বিচে জয়ললিতার সমাধিতে হাজির হয়ে ‘রাজনৈতিক বোমা’ ফাটান তিনি।
পনিরসেলভাম অভিযোগ করে বলেন, জয়ললিতার অসুস্থতাকালীন পোয়েস গার্ডেন ও হাসপাতালে শশীকলার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক। দলের নেতাকর্মী এমনকি তাকেও জয়ললিতার সঙ্গে দেখা করতে দেয়া হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
বিপদ আঁচ করতে পেরে দলীয় বিধায়কদের একত্রিত করে গত কয়েকদিন ধরেই বিলাসবহুল রিসোর্টে অনেকটা ‘নজরবন্দি’ করে রেখেছে শশীকলা শিবির। এছাড়া অবিলম্বে শশীকলাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেয়ার জন্য গভর্নরের প্রতি দাবি জানিয়েছে তারা।
অপরদিকে পনিরসেলভাম শিবিরের দাবি বিধায়কদের ‘জোরপূর্বক’ আটকে রেখেছে শশীকলার লোকজন। প্রকৃত আস্থাভোটে তার পক্ষেই সমর্থন দেবেন বিধায়করা।
এ পরিস্থিতিতে শশীকলা সরাসরি হুংকার ছেড়েছেন পনিরসেলভামের দিকে। পোয়েস গার্ডেনের বাসভবনে সমর্থকদের জমায়েতে তিনি বলেছেন, এ রকম ১ হাজার পনিরসেলভামকে দেখা আছে তারা। আমি ভীত নই।
একই সঙ্গে পনিরসেলভামকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি। জয়ললিতার সঙ্গে নিজের ঘনিষ্ঠতার কথা বলতে গিয়ে শশীকলা বলেন, আমি ‘আম্মা’র সাথে ৩০ বছর ধরে আছি। আমি কখনই নিজের কথা ভাবিনি। আমার একটাই চিন্তা ছিলো যেন তার সরকার ভালোভাবে চলে।
তামিলনাড়ুর রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতিতে সবার চোখ এখন রাজ্যের গভর্নর বিদ্যাসাগর রাওয়ের দিকে। জানা গেছে, তিনি এখন পরিস্থিতি বুঝতে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
আরআই