যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা বারবার যোগাযোগ করেছিলেন রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দাদের সঙ্গে। টেলিফোন রেকর্ড ও আড়িপাতা তথ্যে এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মার্কিন আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা ও গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, ইতোপূর্বে তারা যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সদস্যকে সর্তক করেছেন।
‘রাশিয়ার হ্যাকাররা ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির তথ্য পেতে সংশ্লিষ্ট কম্পিউটার হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়েছিল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার এক ধরনের পরিকল্পনা ছিল,’ কংগ্রেস সদস্যদের এমনটাই জানিয়েছিলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।
যদিও তারা সরাসরি জড়িত থাকা বা প্রভাব বিস্তারের কোনো প্রমাণ পাননি। তবে ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গভীর সম্পর্কের জেরে বিষয়টিকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলেও মত দিয়েছেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার কোনো হাত রয়েছে কিনা সে ব্যাপারে মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনীর তদন্ত এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ট্রাম্পের সাবেক ক্যাম্পেইন চেয়ারম্যান পল মানাফোর্ট বলেন, এমন দাবি সত্যিই অযৌক্তিক। আমার কোনো ধারণা নেই, কেন এমনটা বলা হচ্ছে। আমি কখনও রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করিনি কিংবা তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আর যেহেতু তদন্ত চলছে সুতরাং মন্তব্যও করা যাচ্ছে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এর আগে বলেছিলেন, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তবে রুশ কর্তৃপক্ষ ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কিন্তু ট্রাম্প বরাবরই রাশিয়ার হ্যাকিং সম্পর্কিত অভিযোগ খারিজ করে আসছেন। এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, রাশিয়া কোনো ধরনের হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে বলে তিনি মনে করেন না। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা এসব অভিযোগকে তিনি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দেন।
গত ২০ জানুয়ারি (শুক্রবার) ধুমধাম ও জাঁকজমকের মধ্য দিয়ে ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর সমালোচনা বা বিতর্কের পালে শুধু রাশিয়া ইস্যুই থাকেনি, নতুন করে গজাতে থাকে বিভিন্ন নির্বাহী আদেশ বিতর্কও।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৭
আইএ/আরআই