ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের নয়া অ্যাটর্নিও ‘গোপনে’ আলাপ করেছেন রাশিয়ার সঙ্গে!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৭
ট্রাম্পের নয়া অ্যাটর্নিও ‘গোপনে’ আলাপ করেছেন রাশিয়ার সঙ্গে! একটি অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জেফ সেশন্স

ঢাকা: অভিবাসীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আক্রোশে বহিষ্কার করেছিলেন বারাক ওবামা আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটসকে। তার স্থলে এই গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেন জেফ সেশন্সকে। বেচারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার এই নয়া অ্যাটর্নিকে নিয়ে পড়েছেন আরও বেকায়দায়। সেশন্স নাকি দু’বারেরও বেশি সময় ‘গোপনে’ আলাপ করেছেন রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে।

খোদ ট্রাম্প সরকারের বিচার বিভাগই দিচ্ছে এ খবর। খবর ছড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেশন্সের পদত্যাগের জোর দাবি উঠে গেছে আমেরিকান রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে।

আপাতত এই বিতর্ক সামলাতেই এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে ধনকুবের প্রেসিডেন্টকে।

বিচার বিভাগ জানায়, গত বছর ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সেশন্স সিনেট আর্মড সার্ভিসেস কমিটির সদস্য হিসেবে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সার্জেই কিসল্যকের সঙ্গে অন্তত দু’বার দেখা করেছেন। তাকে অনেক আগে থেকেই ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়।

বিচার বিভাগের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম বলছে, দু’বার রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করলেও জানুয়ারিতে অ্যাটর্নি জেনারেল পদে তার নাম ঘোষণার পরও এই আলাপের বিষয়টি গোপন রেখেছেন সেশন্স।

যদিও বুধবার (১ মার্চ) এই খবর ছড়ানোর পর সেশন্স জোর দিয়ে দাবি করেছেন, তিনি কখনোই কোনো রুশ কূটনীতিকের সঙ্গে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আলাপ করতে দেখা করেননি। কিন্তু বিচার বিভাগের এই ‘নিশ্চিত খবরে’ ডেমোক্রেটিক পার্টির হাউস মাইনরিটি লিডার ন্যান্সি পেলসি বলে দিয়েছেন, সেশন্স শপথ নিয়েও মিথ্যা বলছেন, তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

অন্য ডেমোক্রেটিক নেতারা পদত্যাগ দাবির পাশাপাশি এই ঘটনার এফবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। যদিও অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে এফবিআই’র কার্যক্রম দেখে থাকেন সেশন্স।

বিগত নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ তদন্তে কংগ্রেসনাল কমিটি একমত হওয়ার পরপরই সেশন্সকে জড়িয়ে এই খবর এলো। কংগ্রেসনাল কমিটি তদন্তের বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছে জানায়, নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে মস্কোর যোগাযোগের যে খবর বা তথ্য-উপাত্ত রয়েছে তার সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করবে হাউস ইন্টিলিজেন্স প্যানেল।

তবে যোগাযোগ করা হলে নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো ধরনের ‘অগ্রহণযোগ্য আচরণ’র কথা অস্বীকার করেছে হোয়াইট হাউস। এমনকি সেশন্সকে জড়িয়ে ছড়িয়ে পড়া খবরের বিষয়েও কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেছে তারা।

বরাবরের মতোই এ ধরনের যোগাযোগ বা নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়া।

এর আগে, রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একই কায়দায় গোপনে আলাপ করার অভিযোগ মাথায় নিয়ে ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করতে হয় ট্রাম্পের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি নির্বাচনী প্রচারণার সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ করে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আনুকূল্য লাভের চেষ্টা করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৭
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।