জরুরি সহায়তা ঘোষণার পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দফতর থেকে সদ্য প্রকাশিত প্রেস বার্তায় রাখাইনে চলমান সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে মিয়ানমারকে তা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ উঠেছে তা আমাদের ভীত সন্ত্রস্ত করেছে।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে আসা শরণার্থীদের দুর্দশা লাঘবে সহায়তা দিতে যুক্তরাজ্য সামনের সারিতে রয়েছে।
এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বরও (শুক্রবার) রোহিঙ্গাদের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছিল দেশটি। চলমান সহিংসতায় সেদিন পর্যন্ত ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এখন যা সোয়া চার লাখ ছাড়িয়েছে, বেসরকারি হিসেবে তা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। প্রথম পর্যায়ে উদ্বাস্তুদের জন্য ৫ দশমিক ৯ মিলিয়ন পাউন্ড ও বাংলাদেশে আগে থেকে অবস্থান করা রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সহায়তার কথা বলে ব্রিটেন।
ঘটনার শুরু গত ২৪ আগস্ট দিনগত রাতে রাখাইনে যখন পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে বিচ্ছিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এর জেরে ‘অভিযানের’ নামে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। ফলে লাখ লাখ মানুষ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য চলে আসছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতিগত দ্বন্দ্বের জেরে ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে দেশটির উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতা চালাচ্ছে দেশটির সেনাবাহিনী। সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবরেও প্রায় ৮৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
আইএ