শুক্রবার (১০ নভেম্বর) টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি এ অভিযোগ করেন। গত ৪ নভেম্বর রিয়াদ থেকে প্রচারিত এক টেলিভিশন ভাষণে আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ আল-হারিরি।
হাসান নসরুল্লাহ বলেন, রিয়াদ থেকে সাদের পদত্যাগের ঘোষণা লেবানিজ জনগণের প্রতি অবমাননা। তাকে অবশ্যই লেবাননে ফিরতে হবে। আমরা বলতে চাই, তাকে সৌদিতে আটকে রাখা হয়েছে এবং লেবাননে যেন না ফিরতে পারেন সেজন্য লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
দীর্ঘ দিন ধরেই দু’ভাগে বিভক্ত লেবাননের রাজনীতি। একটি শিবির চালায় ইরানের সমর্থনপুষ্ঠ শিয়াপন্থি হেজবুল্লাহ, যেটার প্রধান নসরুল্লাহ। আরেকটি শিবির চালায় সৌদি আরবের সমর্থন পুষ্ট সুন্নিপন্থি সাদের দল।
সাদ তার পদত্যাগের ঘোষণায় বলেন, লেবাননকে নিয়ে ইরান ও হেজবুল্লাহ গভীর ষড়যন্ত্র করছে। ঠিক রফিক আল-হারিরিকে হত্যাকাণ্ডের আগের পরিস্থিতি বিরাজ করছে লেবাননে। এই প্রাণভয়ে আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর জবাবে প্রচারিত টেলিভিশন ভাষণে নসরুল্লাহ বলেন, এটা স্পষ্ট যে সৌদি আরব ও তাদের শাসকগোষ্ঠী লেবানন এবং এ দেশের হেজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
সাদের পদত্যাগের দু’দিন পরই রিয়াদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, হেজবুল্লাহ ও তাদের মদদদাতা রাষ্ট্র উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আর সাদ বরাবরই মুক্ত মানুষ এবং হেজবুল্লাহর হুমকির মুখেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
হাসান নসরুল্লাহর মতো লেবানিজ প্রেসিডেন্ট মাইকেল আউনও এরইমধ্যে বলে দিয়েছেন, সাদ দেশে ফিরে পদত্যাগপত্র জমা দিলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে, অন্যথায় তা সাংবিধানিক হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ/
** লেবানন ছাড়তে নাগরিকদের নির্দেশ সৌদি-আমিরাত-কুয়েতের