ফাঁস হয়ে যাওয়া এক কূটনৈতিক তারবার্তায় উঠে এসেছে ইসরায়েলের এই অবস্থানের চিত্র। দূতাবাসগুলোতে ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এই তারবার্তা প্রচার করেছে দেশটির চ্যানেল টেন।
প্রকাশিত তারবার্তা অনুযায়ী, ইসরায়েলি কূটনীতিকদের এ মর্মে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে, যেন দূতাবাসের স্বাগতিক দেশগুলোকে বোঝানো হয়, ইরান ও হেজবুল্লাহ লেবাননের নিরাপত্তার জন্য কতোটা ভয়ঙ্কার হয়ে উঠেছে।
হেজবুল্লাহর সশস্ত্র পরিচয় প্রতিষ্ঠিত করে লেবাননের সরকার থেকে সংগঠনটিকে বহিষ্কারের জন্য দেশগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাকে চাপ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে তারবার্তায়।
শিয়াপন্থি দেশ দু’টির সঙ্গে সুন্নিপন্থি সৌদির দ্বন্দ্বে ইসরায়েলের এই বিরল অবস্থান নতুন হিসাব-নিকাশে বসিয়েছে পর্যবেক্ষকদের।
এ বিষয়ে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি বিষয়ক গবেষক ও ইসরায়েলের বার ইলান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মেনাচেম ক্লেইন বলেন, সম্ভবত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুই চেয়েছেন এই তারবার্তা ফাঁস হয়ে যাক। যাতে করে রাজনীতিতে ইসরায়েল আরও ঘনিষ্ঠ হতে পারে সৌদির।
গত ৪ আগস্ট লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণা দেন। রিয়াদ থেকে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, হেজবুল্লাহ ও তাদের মদদদাতা ইরান লেবাননকে ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে বলে আমাকে সরে যেতে হচ্ছে।
পরে হেজবুল্লাহ ও ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সৌদি আরব সাদকে ‘গৃহবন্দি দশায়’ রেখে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। এর পাল্টা জবাবে সৌদি আরব দাবি করে, হেজবুল্লাহ ও তাদের মদদদাতা ইরানের ষড়যন্ত্র দেখে সাদ পদত্যাগ করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
এইচএ