মিয়ানমারের বেসামরিক ও সামরিক শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার (১৫ নভেম্বর) তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
নেপিদোতে অনুষ্ঠিত টিলারসনের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বা সরকারপ্রধান অং সান সু চিও। তাকে নিয়ে আয়োজিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাখাইনে যা ঘটেছে তার চিত্র একেবারেই ভয়াবহ। যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে মিয়ানমার নেতৃত্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে। ’
টিলারসন এই বৈঠকের পর পৃথকভাবে সাক্ষাৎ করেন মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে। মূলত এই অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হ্লাইংই। তিনিই বরাবর ঔদ্ধত্যের সঙ্গে বলে আসছেন, ‘রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশকারী বাঙালি। তারা মিয়ানমারের নাগরিক নয়। ’
টিলারসনের এই সফরের আগে রাখাইন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল মাউং মাউং সোয়েকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কী কারণে তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
বিভিন্ন সংস্থার হিসাব মতে, আগস্টের শেষে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরোচিত অভিযানের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে সোয়া ৬ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। অভিযানকালে হত্যাকাণ্ড ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন হাজার হাজার রোহিঙ্গা।
রাখাইন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে স্বদেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি চাপ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ। এই প্রেক্ষিতে ঢাকার পক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্যসহ বিশ্ব সম্প্রদায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এইচএ/