বুধবার (১৫ নভেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম রেডং সিনমুনে প্রকাশিত এক সম্পাদকীয়তে এই হুংকার দেওয়া হয়। ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সম্পাদিত ওই সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকীয়টিতে ট্রাম্পের গত সপ্তাহের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের প্রতি আক্রোশ প্রকাশ পায়।
ওই সফরে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদে ভাষণ দানকালে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া বর্বর স্বৈরাচারের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। ’ তিনি এমন শাসনের নিন্দাও জানান। মূলত উত্তর কোরিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিতে দীর্ঘ এশিয়া সফরের শেষ দিকে কিম উন-জংকে ‘খাটো ও মোটা’ বলেও অভিহিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর জবাবে সম্পাদকীয়টিতে বলা হয়, ‘ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো, তিনি আমাদের সর্বোচ্চ নেতার সম্মানকে মারাত্মকভাবে আঘাত করার সাহস দেখিয়েছেন, যার জন্য তিনি কখনোই ক্ষমা পাবেন না। তার জানা উচিত, তিনি উত্তর কোরিয়ার জনগণের হাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী মাত্র। ’
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছেন। এর অংশ হিসেবে তিনি কিম জং-উনকে মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণও করেছেন, যার জেরে দু’জনই জড়িয়েছেন বাকযুদ্ধে।
এই উত্তেজনার মধ্যে সিউল সফরে গিয়ে সূচি নির্ধারিত থাকলেও কোরীয় উপদ্বীপের অসামরিক জোন (উত্তর-দক্ষিণ কোরিয়ার মাঝামাঝি ডিমিলিটারাইজড জোন-ডিএমজেড) পরিদর্শনে না যাওয়ায় ট্রাম্পকে বেশ খোঁচা দেওয়া হয় সম্পাদকীয়টিতে।
এতে বলা হয়, ‘ট্রাম্প বৈরী আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে হেলিকপ্টারে এসেও ফিরে গেছেন, এটা আসলে আবহাওয়ার দোষ ছিল না। বরং আমাদের সৈন্যদের জ্বলজ্বলে চোখ দেখে তিনি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৭
এইচএ/