রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
সংবাদমাধ্যম জানায়, সাতবার ‘স্যাটেলাইট কল’ ব্যর্থ হওয়ার পর শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে নিখোঁজ ‘এআরএ সান জুয়ান সাবমেরিনে’র শনাক্তের খবর পাওয়া যায়।
নিখোঁজ হওয়ার আগে বুধবার (১৬ নভেম্বর) আর্জেন্টিনার ইউশিয়ার ঘাঁটি থেকে বুয়েন্স আয়ার্স থেকে দক্ষিণে মার ডেল প্লাটা ঘাঁটিতে যাওয়ার জন্যে রওনা দেয়।
ওই সময়ই সাবমেরিনটির সঙ্গে সর্বশেষ যোগাযোগ হয় আর্জেন্টাইন নৌবাহিনীর নিয়ন্ত্রণকক্ষের। তখন সাবমেরিনটি পাতাগোনিয়া উপকূল থেকে ৪৩২ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থান করছিলো।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে সাবমেরিনটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিবৃতিতে আর্জেন্টিনার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, রহস্যজনক একটি সংকেত পাওয়া গেছে। সকাল ১০টা ৫২ মিনিট থেকে বিকেল তিনটা ৪২ মিনিটে যথাক্রমে ৪ ও ৩৬ সেকেন্ডের একটি বার্তা পাঠানো হয়েছে।
‘আর্জেন্টিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অশনাক্ত উপগ্রহ যোগাযোগের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে সংকেত অবস্থান ধরতে কাজ করছে। ’
কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে জরুরিভিত্তিতে সাবমেরিনটি উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারে কাজ করছে বেশ কয়েকটি নৌ ও আকাশযান।
পাশাপাশি উদ্ধারকাজে হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, পেরু, চিলি, যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে নৌবাহিনীর মুখপাত্র এনরিক বালবি বলেন, ঝড়ো আবহাওয়া ও সাগর উত্তালের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যহত হচ্ছে।
তিনি বলেন, কোনো কারণে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে সাবমেরিনকে সাধারণত পানির ওপরে ভাসিয়ে রাখা হয়। তাই আশা করা হচ্ছে, জার্মানির তৈরি এআরএ সান হুয়ানটিও পানির ওপরেই পাওয়া যাবে।
ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত যুদ্ধযানটি ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে। তখন এটাই ছিল সর্বাধুনিক সাবমেরিন।
বাংলাদেশ সময়: ১১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৭
এমএ/