ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরাদের কমপক্ষে ১৬জন পাকিস্তানি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৮
ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরাদের কমপক্ষে ১৬জন পাকিস্তানি লিবীয় উপকূলে ডুবে যাওয়া অভিবাসীবাহী নৌকা। ছবি-সংগৃহীত

ভূমধ্যসাগরে লিবিয়া উপকূলে শুক্রবার অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে মারা যাওয়াদের মধ্যে কমপক্ষে ১৬জন পাকিস্তানি। এরই মধ্যে ৮ পাকিস্তানির মরদেহ উদ্ধার ও শনাক্ত করা হয়েছে।

 

পাকিস্তানের বৈদেশিক দফতরের (এফও)বরাত দিয়ে ডন নিউজ শনিবার এখবর জানায়।

বেঁচে যাওয়া এক পাকিস্তানি এদেরকে স্বদেশি বলে শনাক্ত করেছে।

লিবিয়ায় পাকিস্তান দূতাবাস ডুবে যাওয়া সকল পাকিস্তানির মরদেহ উদ্ধার ও শনাক্তকরণের জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে।

এফও’র মুখপাত্র ড. মোহাম্মদ ফয়সালের বরাত দিয়ে ডন নিউজ  আরও জানায়, ডুবে মরাদের মধ্যে একই পরিবারের ৪জনসহ একটি ৫ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে।

শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি)  ৯০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহনকারী নৌকাটির ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার জুওয়ারা উপকূলের অদূরে ডুবে যাওয়ার খবর জানায় জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া অভিবাসন প্রত্যাশী পাকিস্তানির বরাত দিয়ে তারা জানায়, নৌকাটির বেশিরভাগ আরোহীই ছিল পাকিস্তানি।

এসব পাকিস্তানির বেশিরভাগই পাঞ্জাব প্রদেশের বাসিন্দা। উন্নত জীবনের আশায় এরা নৌকায় করে ইউরোপের পথে পাড়ি জমিয়েছিল।

তিউনিসিয়ার সীমান্তঘেঁষা লিবীয় শহর জুওয়ারা ইউরোপে পাড়ি জমাতে ইচ্ছুকদের কাছে প্রিয় এক গন্তব্য। এখান থেকেই লিবীয় মানব পাচারকারীরা ছোট ছোট নৌকায় লোকজনকে গাদাগাদি করে তুলে ইউরোপের পথে পাড়ি জমায়।

ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে উন্নত অর্থনীতির ইউরোপে পৌঁছাতে লিবিয়া দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকা ও এশীয় দেশগুলোর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বড় রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু গত দু’বছর ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে হাজারো অভিবাসীর প্রাণহানির প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় নেতৃত্ব এই চোরাইপথ বন্ধে উদ্যোগ নেয়। মাঝে কিছু দিন সাগরে প্রাণহানি কমলেও সম্প্রতি এই প্রবণতা ফের লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, গত বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার জন্য যেসব দেশের মানুষ মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছে তাদের মধ্যে পাকিস্তানিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছর তাদের মধ্যে স্বদেশ ছাড়ার হিড়িক বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।