সোমবার (১৫ অক্টোবর) মানহানির মামলা করেন এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ভারতে চলমান #মিটু আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে আকবরের বিরুদ্ধে।
তিনি অভিযোগ তোলেন, রমনী ইচ্ছাকৃতভাবে, সজ্ঞানে, বিদ্বেষপূর্ণভাবে তার মানহানি করেছেন।
তিনি বলেন, প্রমাণ ছাড়া যেকোন অভিযোগ ভাইরাস জ্বরের মতো ছড়ায়। নারী সাংবাদিকের মিথ্যা অভিযোগে আমার মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
মানহানির জন্য বিচারের দাবি জানান তিনি।
সারা ভারতে #মিটু ক্যাম্পেইন শুরু হলে দুই নারী সাংবাদিক আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। তারা এক সময় পত্রিকায় তার সঙ্গে কাজ করতেন।
গত ৮ অক্টোবর এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন প্রিয়া রমনী। তিনি এক টুইট বার্তায় জানান, এমজে আকবর তাকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে বছরখানেক আগে ভোগ ইন্ডিয়ার একটি নিবন্ধে তিনি উল্লেখ করেছেন। সেসময় মার্কিন মুলুকে এই আন্দোলন শুরু হয়।
এমজে আকবরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করেছেন-প্রিয়া সিং বিন্দ্রা, ঘজালা ওয়াহাব, সুপ্তা পাল, আনজু ভারতী, সুপর্ণা শর্মা, সোমা রাহা, মালিনী ভুপ্তা, কণিকা গৌলত, কদমবারি এম ওয়েড ও মাজলি দ্য পু ক্যাম্প।
এক বছর ধরে মার্কিন মুলুকের সফল চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগের ঝড় বয়ে যাচ্ছে যা #মিটু নামে পরিচিত। একের পর এক অভিনেত্রী ও পরিচিত নারী প্রতিষ্ঠিত ও ক্ষমতাবান এই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন, যেগুলো আদালতের বিচারাধীন। তারই রেশ ধরে ভারতেও শুরু হয়েছে এই আন্দোলন।
হিন্দি সিনেমার সাবেক বাঙালি অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত ১০ বছর আগে তাকে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন অভিনেতা নানা পাটেকার ও নৃত্য পরিচালক গণেশ আচার্যের বিরুদ্ধে। সেই থেকে একে একে শুরু হয়েছে অভিযোগের পালা। অভিযোগের তালিকা দিন দিন বাড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এএইচ/আরআর