ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জেরে নয়াদিল্লি-ইসলামাবাদ তুমুল উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মোশাররফ। তিনি শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতে একটি সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন।
পারভেজ মোশাররফ বলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারও একটি বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছে গেছে। এখানে কোনো পারমাণবিক হামলা শুরু হবে না। যদি আমরা একটি পারমাণবিক বোমা দিয়ে ভারতকে আক্রমণ করি, তাহলে তারা অন্তত ২০টি পারমাণবিক বোমা দিয়ে হামলা করে আমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দেবে। ’
‘একমাত্র সমাধান হচ্ছে যদি আমরা শুরুতেই ৫০টি বোমা দিয়ে তাদের আক্রমণ করতে পারি, তাহলে তারা আর আমাদের ২০টি বোমা দিয়ে আক্রমণ করার সুযোগ পাবে না। পাকিস্তান কি ৫০টি পারমাণবিক বোমা দিয়ে হামলা চালাতে প্রস্তত?’ বলেন পারভেজ মোশাররফ।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় বিশেষায়িত বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে হামলায় বাহিনীটির ৪৪ জওয়ান নিহত হন। এই হামলায় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের দায় স্বীকারের আগেই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করে ভারত। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।
তবে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। এতে জড়িয়েছেন খোদ দু’দেশের প্রধানমন্ত্রীও। সেজন্য যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা। এই প্রেক্ষাপটেই পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের বক্তব্যটি এলো।
আরব আমিরাতে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা পারভেজ আরও বলেন, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা এখন ভালো। বর্তমান মন্ত্রী পরিষদে অর্ধেকই আমার লোক। বর্তমান আইনমন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল আমার আইনজীবী ছিলেন। সেজন্য দেশে ফেরার চিন্তা করছি।
১৯৯৯ সালে তৎকালীন সরকারপ্রধান নওয়াজ শরিফকে উৎখাত করে ক্ষমতায় বসেন সেনাপ্রধান পারভেজ মোশাররফ। ৯ বছর ধরে ক্ষমতাভোগের শুরুতেই ভারতের সঙ্গে কারগিল সীমান্তে যুদ্ধ বাঁধিয়েছিলেন পারভেজ। যদিও সে যুদ্ধের ফল ভারতেরই অনুকূলে গেছে বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসএ/এইচএ/