ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান ফাতিমা ভুট্টোর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান ফাতিমা ভুট্টোর

পাকিস্তানে বিমান হামলা চালাতে গিয়ে আটক হওয়া ভারতের সেই পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির লেখিকা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা ভুট্টো।

বুধবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্ক টাইমসে লেখা এক উপসম্পাদকীয়তে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি এ আহ্বান জানান।

বুধবার পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতীয় ‘মিগ ২১’ নামে একটি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করলে তা ভূপাতিত করে দেশটির সামরিক বাহিনী।

সেসময় যুদ্ধবিমানটির পাইলট উইং কমান্ডার অভি নন্দনকে আটক করা হয়।  

অবশ্য প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে গেলেও পরে ভারত অভি নন্দনের আটক হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে এবং নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানের উপ-হাইকমিশনারকে তলব করে অভি নন্দনের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন দাবি করে।

উপসম্পাদকীয়তে ফাতিমা বলেন, ‘শান্তি, মানবতা এবং আত্মমর্যাদাবোধের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার রক্ষা করতেই আমিসহ পাকিস্তানের তারুণ্য ভারতীয় পাইলটকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। ’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধে আমরা বহু সময় ব্যয় করেছি। আমরা পাকিস্তান কিংবা ভারতের কোনো সৈন্যের মৃত্যু দেখতে চাই না। আমরা এতিমদের উপমহাদেশও দেখতে চাই না। ’

জুলফিকার আলী ভুট্টোর ছেলে মুর্তাজা ভুট্টোর কন্যা ফাতিমা বলেন, ‘পাকিস্তানে আমার প্রজন্মের মানুষ কথা বলার অধিকারের জন্য লড়াই করেছে। তাই ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে আমরা ভয় পাই না ‘

‘পাকিস্তানে সামরিক স্বৈরতন্ত্রের দীর্ঘ ইতিহাস এবং সন্ত্রাসবাদের অভিজ্ঞতা ও অনিশ্চয়তা প্রমাণ করছে যে জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধের ব্যাপারে আমাদের প্রজন্মের কোনো ধরনের সহনশীলতা বা উচ্চাভিলাস নেই। ’

তিনি পাকিস্তানের বিগত এবং বর্তমান নেতৃত্বের সমালোচনা করে বলেন, ‘আমি পাকিস্তানকে কখনো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে শান্তিতে থাকতে দেখিনি। মানুষ দু’দেশের চলমান এই উত্তেজনার সমাপ্তি চায়। ’

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় ভারতের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ৪৪ জওয়ান নিহত হন।

জঙ্গিদের মদত দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করে এর মোক্ষম জবাব দিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোরের দিকে পাকিস্তানের বালাকোট শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদের আস্তানায় হামলা চালায় ভারতীয় বিমান বাহিনী। হামলায় প্রায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে ভারত। এর একদিন পরই ভারতের দু’টি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত ও পাইলট অভি নন্দনকে আটক করার দাবি করে পাকিস্তান।

অবশ্য বুধবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে সতর্ক করে বলেন, ‘যে অস্ত্র আপনাদের আছে, সে অস্ত্র আমাদেরও আছে। যুদ্ধ বেঁধে গেলে কিন্তু পরিস্থিতি কারোরই নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। ’ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ভারতকে শান্তির স্বার্থে সংলাপে বসার আহ্বানও জানান তিনি।  

এদিকে বুধবার পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধবিরোধী প্রচারণা শুরু হয়েছে। ‘#সে নো টু ওয়ার’ হ্যাশট্যাগে শুরু হওয়া এ প্রচারণা এখন দেশটিতে এক নম্বর ট্রেন্ড হিসেবে জায়গা পেয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯
এসএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।