অ্যান্তোনিও মাভরোপাউলস নামে ওই যাত্রী জানিয়েছেন তার বেঁচে যাওয়ার গল্প। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন সে কাহিনী।
‘মাই লাকি ডে’ নামে মাভরোপাউলসের ফেসবুক পোস্টের বরাতে সে গল্প তুলে ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, বিমান বন্দরে পৌঁছে আমি ‘পাগলের’ মতো এদিক সেদিক ছোটাছুটি করছি। ফ্লাইটের গেইট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অথচ বহির্গমন গেটে আমাকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসছে না।
বিমান বন্দরের কাঁচের মধ্য দিয়ে দেখি যাত্রীরা সবাই যে যার আসনে বসে পড়েছেন। স্যুটকেস খুঁজতে গিয়ে আমার মাত্র দুই মিনিট দেরি হয়েছিলো।
তবে প্লেনটি উড়াল দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই জানতে পারি প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে পরে তাকে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হয়, কেন তিনি প্লেন মিস করেছেন।
১৫৭ ‘হতভাগ্যের’ মতো মাভরোপাউলসও নাইরোবিতে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক প্রোগ্রামে অংশ নিতে ওই প্লেনের টিকিট কেটেছিলেন। ইটি৩০২ ফ্লাইটে ক্লাস-৩ এর ১ নম্বর জোনে তার আসন নম্বর ছিলো ‘২এল’।
তিনি আরো লেখেন, পুলিশ আমাকে আশ্বস্ত করে বলে, ক্ষোভ প্রকাশ নয়, সৃষ্টিকর্তার কাছে আপনার প্রার্থনা করা উচিত। কারণ একমাত্র যাত্রী আপনিই, যিনি টিকিট কেটেও প্লেনে চেপে বসেননি।
প্লেনটি বিধ্বস্তের খবর জানার পর মাভরোপাউলস দ্রুতই তার পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। তিনি ওই ফ্লাইটের যাত্রী হইনি তা তাদের নিশ্চিত করেন।
রোববার (১০ মার্চ) সকালে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোলে বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট ‘ইটি৩০২’ উড়াল দেওয়ার ছয় মিনিটের মধ্যেই ৮টা ৪৪ মিনিটের দিকে বিধ্বস্ত হয়। জোমো কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেনটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে অবতরণের কথা ছিল। তবে তার আগেই এভিয়েশন ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কজনক অধ্যায় তৈরি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
জেডএস