পুলিশ গার্সিয়াকে ধরার জন্য তার মিরাফ্লোরেস শহরের আলিশান বাড়িতে গেলে সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা হওয়ার পরই আত্মঘাতী হন তিনি। বুধবার (১৭ এপ্রিল) এক টুইটার বার্তায় বিষয়টি জানিয়েছেন পেরুর বর্তমান প্রেসিডেন্ট মার্তিন ভিজকারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্লোস মরান জানান, পুলিশ গার্সিয়ার বাড়িতে গেলে তিনি একটি ফোন করার কথা বলে ভেতরের ঘরে যান। এরপর দরজা বন্ধ করে দেন। কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনে দ্রুত দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পায় পুলিশ।
তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রাজধানী লিমার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন গার্সিয়ার সমর্থকরা। তবে সেখানে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সতর্ক ছিল পুলিশ।
গার্সিয়ার কাছে ৪-৫ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছেন তার সহকারী রিকার্দো পাইনেদো। সেগুলো বিভিন্ন সময়ে সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে উপহার হিসেবে পেয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে একটি দিয়েই তিনি নিজের মাথায় গুলি করেন গার্সিয়া।
১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯০ এবং ২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট পদে ক্ষমতায় থাকা গার্সিয়ার বিরুদ্ধে ব্রাজিলের নির্মাণ কোম্পানি অডেবরেক্টের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
যদিও তিনি সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। মঙ্গলবারই (১৬ এপ্রিল) এক টুইটার বার্তায় গার্সিয়া তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই দাবি করে বলেছিলেন, তিনি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার।
তদন্ত সংস্থার দাবি, ২০০৪ সালে অর্থাৎ দ্বিতীয় মেয়াদে গার্সিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে রাজধানী লিমায় মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দিতে অডেবরেক্টের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন। অডেবরেক্টের দাবি, ২০০৪ সাল থেকে ওই প্রকল্পের জন্য তারা পেরুতে প্রায় ৩ কোটি ডলার ঘুষ ঢেলেছে।
রাজনীতির মাঠে বেকায়দায় পড়ে যাওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে উরুগুয়েতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন গার্সিয়া। তবে তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন।
বাংলাদশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১৯
এসএ/এইচএ/