ঘূর্ণিঝড়টির গতিপথ দেখে আবহাওয়াবিদরা ধারণা করছেন আগামী ৩ মে (শুক্রবার) বিকেল নাগাদ এটি ওড়িষা উপকূলে আঘাত হানবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, ফণী এরইমধ্যে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দেড় মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ব্যহত হতে পারে সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ।
এদিকে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) থেকে ওড়িষা, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ৪১টি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরো ২৩টি টিম।
ওড়িষায় খোলা হয়েছে ৮৭৯টি সাইক্লোন সেন্টার। যাতে ১০ লাখ লোকের জরুরি অবস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী হেলিকপ্টার এবং জাহাজের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িষা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে বিমান বাহিনী।
এছাড়া আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ওড়িষা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক হাজার কোটি রূপি ছাড় দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের দেওয়া নাম। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ‘ফণী’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
জেডএস