স্থানীয় সময় শুক্রবার (০৩ মে) নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাসিন্ডা ও গেফোর্ডের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এবারের ইস্টার ব্রেকে গাঁটছড়া বাঁধবেন আলোচিত এ জুটি।
তাদের একবছর বয়সী একটি কন্যা রয়েছে। জাসিন্ডা মেয়ের নাম রেখেছেন নেভ তে আরোহা।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে জাসিন্ডার হাতে হীরার আংটি দেখতে পান এক সাংবাদিক। এরপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে তার বাগদানের খবর। অবশ্য, এর আগেও দু’বার তার বাগদানের ভুয়া খবর ছড়িয়েছিলো।
তবে এবার আর ভুল নয়, সত্যি সত্যিই বাগদান সেরেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। যদিও বিয়ের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ বলতে পারেননি তিনি। এমনকি বিয়ের প্রস্তাব কে প্রথমে দিয়েছেন তাও জানা যায়নি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে ৩৮ বছর বয়সী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছিলেন, আমি কখনই তাকে (ক্লার্ক গেফোর্ড) বিয়ের প্রস্তাব দেবো না। আমি চাই, সে বুঝতে পারুক, কাউকে প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি কতটা যন্ত্রণাদায়ক।
এসময় নিজেকে নারীবাদী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জাসিন্ডা আরডার্ন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষনেতা যিনি ক্ষমতায় থাকাকালে সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানের দুইবারের প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো ক্ষমতাসীন অবস্থায় সন্তানের মা হয়েছিলেন।
মেয়ে নেভে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই বাসায় থেকে তার দেখভাল করছেন ক্লার্ক গেফোর্ড। এর আগে তিনি টেলিভিশনে মৎস্য শিকার বিষয়ক একটি শো উপস্থাপনা করতেন।
সন্তান জন্মের পর জাসিন্ডা বলেছিলেন, আমি এমন একজন সঙ্গী পেয়েছি যে সবসময় আমার পাশে থাকবে। সন্তান লালন-পালনে মা-বাবার যে দায়িত্ব, তার বড় অংশটাই সে কাঁধে তুলে নিয়েছে।
২০১২ সালে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রথম সাক্ষাৎ হয় জাসিন্ডা ও ক্লার্কের।
গত মার্চে ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫১ জন মুসল্লি নিহতের পর নানা কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় আসেন জাসিন্ডা আরডার্ন। সন্ত্রাস মোকাবেলায় সাহসী পদক্ষেপের পাশাপাশি শোকার্ত মুসলিমদের পাশে দাঁড়ানোয় বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হন তিনি। এ বছর টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকাতেও জায়গা করে নেন জাসিন্ডা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৯
একে