গত সেপ্টেম্বরে ওয়া লোন (৩৩) ও কিয়াও সো ও (২৯) নামের ওই দুই সাংবাদিককে সাত বছরের সাজা দেন মিয়ানমারের আদালত। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।
যদিও দুই সাংবাদিক কোনো অপরাধ করেননি উল্লেখ করে দ্রুত তাদের মুক্তি দাবি করে রয়টার্স।
এ বছরের জানুয়ারিতে উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ওয়া লোন ও কিয়াও সোর আপিল খারিজ করে দেন ইয়াঙ্গুন হাইকোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে সেখানেও প্রত্যাখাত হন তারা।
এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কাছে দুই সাংবাদিকের সাধারণ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করেন তাদের স্ত্রী। চিঠিতে তারা বলেন, যদিও তারা কোনও অপরাধ করেননি, তবু পরিবারের কথা ভেবে যেন তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের মুক্তি বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনও মন্তব্য করেনি কর্তৃপক্ষ।
গত মাসে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট দেশটির হাজার হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামির রাষ্ট্রীয় ক্ষমা ঘোষণা করেন। প্রতিবছর ১৭ এপ্রিল থেকে দেশটিতে নববর্ষ উপলক্ষে আসামিদের মুক্তি দেওয়ার রীতি রয়েছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে গ্রেফতার হওয়ার আগে ওয়া লোন ও কিয়াও সো রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের হাতে ১০ মুসলিম রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়ে তদন্ত করছিলেন। ওই বছরের আগস্ট থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে জাতিসংঘের হিসেবে অন্তত সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
সাহসি প্রতিবেদনের জন্য চলতি বছরের মে মাসে সাংবাদিকতার নোবেলখ্যাত পুলিৎজার পুরস্কার পান রয়টার্সের ওই দুই সাংবাদিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১৯
একে