মঙ্গলবার (৭ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন সিরিসেনা।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় কয়েক দফা ভয়াবহ হামলার সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যকার ৯৯ শতাংশকেই ইতোমধ্যে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
সিরিসেনা বলেন, আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ভয়াবহ হামলার ঘটনার হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ৯৯ শতাংশকেই আটক করেছে। হয়ত এক থেকে দু’জন এখনও বাইরে থাকতে পারে। তবে তাদেরও আটক করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবারই হামলার আগে ‘ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সতর্কতা পাওয়ার পরেও কেনো ব্যাপারটি গুরুত্ব দেয়নি শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী’- এ ব্যাপারটি তদন্তে গঠিত কমিটির কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পান প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। তবে সে প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
তিনি শুধু বলেছেন, হামলার ব্যাপারে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে পূর্ব তথ্য থাকা সত্বেও তারা কোনো ধরনের প্রস্তুতি নেয়নি কিংবা আমাকেও কিছু জানায়নি।
তিনি আরও বলেন, হামলার সব সন্দেহভাজনদের কাছে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য, অস্ত্র, তাদের থাকার সেফ হাউজ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র- সব কিছুই খুঁজে বের করা হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল (রোববার) খ্রিস্টানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ইস্টার সানডে উদযাপনের সময় শ্রীলঙ্কায় তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আটটি স্থানে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলা হয়। এরপরই বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। যা শেষপর্যন্ত ৩৫৯ এ গিয়ে ঠেকে। পরে গণনায় ভুল হয়েছে বলে সে সংখ্যা ১০৬ জন কমিয়ে ২৫৩-তে এসে দাঁড়ায় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
হামলার পর থেকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। জঙ্গিদের খুঁজতে নামানো হয়েছে হাজার হাজার সেনা সদস্য।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক সন্দেহভাজন গ্রেফতার হয়েছেন। একইসঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।
হামলার পেছনে স্থানীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত ও জামায়াতিন মিল্লাতাহু ইব্রাহিম রয়েছে বলে জানিয়েছিল দেশটির কর্তৃপক্ষ।
তবে হামলার দুইদিনের মাথায় ২৩ এপ্রিল হামলাটির দায় স্বীকার করে আইএস। প্রমাণ হিসেবে হামলাকারীদের বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এসএ/