এই প্রতিবাদের মিছিলে শামিল হয়েছে প্রভাবশালী দৈনিক ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’, ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ ও ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান ফিন্যান্সিয়াল রিভিউ’র মতো সংবাদমাধ্যমগুলো। কালো কালিতে মুছে দেওয়া প্রতিবেদনের ওপরে লাল কালির সিলে দেখা যায়, ‘সিক্রেট: নট ফর রিলিজ’ (গোপনীয়: প্রকাশের জন্য নয়) লেখা, যা গোপনীয়তার অজুহাতে সরকারের বাড়াবাড়িকেই ইঙ্গিত করেছে।
সরকারের গণমাধ্যম দমনের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদের পেছনে ‘রাইট টু নো’ সংগঠন সোচ্চার বলে মনে করা হচ্ছে। এ বছরের শুরুতে দু’টি প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে টেলিভিশন চ্যানেল এবিসির কার্যালয় ও নিউজ কর্প’র একজন সাংবাদিকের বাড়িতে কেন্দ্রীয় পুলিশের অভিযানের পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছে তারা।
নিউজ কর্প’র সাংবাদিক অ্যানিকা স্মেথার্স্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার অস্ট্রেলিয়ানদের ওপর নজরদারির পরিকল্পনা করছে। আর এবিসির দুই প্রতিবেদক আফগানিস্তানে পশ্চিমা জোটের হয়ে অংশ নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিশেষ বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের বিষয়াদি তুলে ধরেন। দু’টি প্রতিবেদনই সরকারকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দেয়।
ওই অভিযানের পর অ্যানিকা এবং এবিসির দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযাগ গঠন করতে চলেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এ বিষয়ে মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্ট অ্যান্ড আর্টস অ্যালায়েন্স ইউনিয়নের প্রধান পল মার্ফি বলেছিলেন, নিউজ কর্প’র সাংবাদিক অ্যানিকা স্মেথার্স্টের বাড়ি ও এবিসির সিডনি হেডকোয়ার্টারে অভিযান অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ।
বিশ্ব সংবাদমাধ্যম বলছে, অনেক উদার গণতন্ত্রের মতো অস্ট্রেলিয়ায় বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে সাংবিধানিক সুরক্ষা নেই। এ সংক্রান্ত কোনো বিশেষ আদেশও নেই। যেজন্য সেখানে বরাবরই দমন-পীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ করে আসছে সংবাদমাধ্যম।
যদিও এ অভিযোগের ব্যাপারে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বারবার বলে আসছেন, তার সরকার সবসময় সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে সাংবাদিকরাও আইনের ঊর্ধ্বে নন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এইচএ/