ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জেলে যাওয়ার ভয় কেন ট্রাম্পের?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
জেলে যাওয়ার ভয় কেন ট্রাম্পের?

নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেয়েছেন ডেমোক্রেট প্রার্থী জো বাইডেন। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পরাজয় মানতে কিছুতেই রাজি নন।

তার এক কথা, কারচুপি আর জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে ঠকানো হয়েছে।  

আত্মীয়-স্বজন আর দলের লোকজন তাকে বোঝালেও তিনি এখনও পরাজয় অস্বীকার করেই যাচ্ছেন। বাইডেনকে তাই এখনও শুভেচ্ছাও জানাননি।  

সমালোচকরা বলছেন, জেলে যাওয়ার ভয়ে হোয়াইট হাউস ছাড়তে চান না ট্রাম্প। আর সে কারণেই তিনি পরাজয় স্বীকার করছেন না। আইনি পদেক্ষেপের মাধ্যমে ভোটের ফল আরও বিলম্বিত করতে চাচ্ছেন।     

কিন্তু ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার ভয় কেন? 

সম্প্রতি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি মেইল’-এর এক প্রতিবেদন নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক কর্মকর্তাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্প গ্রেফতার হতে পারেন। সৌদি নিউজ চ্যানেল আল-আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মন্ত্রণালয়ের সাবেক মুখপাত্র অ্যাডাম এরলি এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।  

তিনি বলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন থেকে শুরু করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মতো বহু অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।  

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমানে তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আইনি দায়মুক্তি ভোগ করছেন বলে ওইসব মামলায় গ্রেফতার করা যাচ্ছে না।

সে কারণে বলা হচ্ছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ ও মামলাগুলো সক্রিয় হবে। আর তিনি গ্রেফতারও হতে পারেন। দীর্ঘদিন কারদণ্ড হতে পারে এমন মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। সুতরাং ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে ট্রাম্পকে। আর সে কারণেই তিনি পরাজয় স্বীকার করছেন না। হোয়াইট হাউসও ছাড়তে চাচ্ছেন না।  

কিন্তু তিনি চাইলেই তো আর হোয়াইট হাউসে থাকতে পারবেন না। আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট শপথ নেবেন। তার আগে ওই সাদা ভবন ছাড়তেই হবে ট্রাম্পকে।  

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- আইনি বিচার প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়া, সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন, কর ফাঁকি। তার বিরুদ্ধে আছে কয়েকটি ধর্ষণের মামলাও।  

ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট পদের মেয়াদ শেষ হলেই ট্রাম্পকে ডিভোর্স দেবেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প! নিজেদের ১৫ বছরের সম্পর্কে দাঁড়ি টানবেন তিনি। সব মিলিয়ে সময়টা ভালো যাচ্ছে না ডোনাল্ড ট্রাম্পের।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।