কায়রো: মিশরে হোসনি মোবারক পরবর্তী প্রথম পার্লামেন্ট নির্বাচনে উদার ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি (এফজেপি) ব্যাপক ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
মিশরের সাবেক একনায়ক মোবারকের শাসনামলে দীর্ঘদিন নিষিদ্ধ থাকা দেশটির সবচেয়ে পুরনো ইসলামপন্থী রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা হিসেবে পরিচিত এই দল।
দলটি পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে ৪৭ শতাংশ আসনে জয়লাভ করেছে বলে মিশরের নির্বাচন কমিশন শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে।
এফজেপি নিউ পিপলস এসেম্বলি নামে অভিহিত মিশর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ২৩৫টি আসনে জয়লাভ করেছে বলে ঘোষণায় জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদেল মোয়েজ ইবরাহিম।
এদিকে অপেক্ষাকৃত কট্টর ইসলামপন্থী সালাফি আল নূর পার্টি মোট আসনের ২৪ শতাংশে জয় পেয়েছে। এছাড়া দেশটির সেক্যুলার রাজনৈতিক দল আল ওয়াফদ পার্টি ৭ শতাংশ আসনে জয়লাভ করেছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অপর দিকে বাকি ২২ শতাংশ আসনে জয় পেয়েছে অন্য ক্ষুদ্র দল এবং গোষ্ঠীগুলো।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য মতে, নির্বাচনে মিশরের মোট ভোটারদের প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে ।
মিশরের ইতিহাসের যুগান্তকারী এই নির্বাচন গণঅভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতনের পর তিন দফায় অনুষ্ঠিত হয়।
দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ৪৯৮টি আসনের দুই-তৃতীয়াংশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। অবশিষ্ট আসনগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রার্থীদের দলীয় পরিচয়ের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে হয়।
এছাড়া পার্লামেন্টের ১০টি আসন দেশটির ক্ষমতাশালী সামরিক বাহিনীর মনোনীত সুপ্রিম কাউন্সিল অব দা আর্মড ফোর্সের (এসসিএএফ) জন্য সংরক্ষিত।
মিশরের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ফেব্রুয়ারি। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১২