ত্রিপোলি: লিবিয়ার ক্ষমতাসীন জাতীয় অন্তর্বর্তী পরিষদ যদি ক্ষমতা ছেড়ে দেয় তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে। রোববার এনটিসি নেতা মুস্তাফা আবদুল জলিল এ সতর্কবানী উচ্চারণ করেন।
আবদুল জলিল আরও বলেন, ‘এনটিসির জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জই হচ্ছে বেনগাজির প্রতিবাদ দমন করা। ’
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই এনটিসি’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ অব্যাহত আছে। এই বেনগাজি শহর থেকেই প্রথম লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয় গত বছর।
বেনগাজিতে বেশকিছুদিন ধরেই সেখানকার ছাত্ররা ডেপুটি প্রধান আবদেল হাফিজ ঘোঘা’র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। শনিবার ঘোঘাকে বেনগাজি থেকে চার হাজার ছাত্রের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এনটিসি প্রধান আবদুল জলিল লিবিয়ার আল হুর্রা টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা পদত্যাগ করতে যাচ্ছি না। কারণ এরফলে গৃহযুদ্ধ দেখা দেবে। কিছু গুপ্ত হাত প্রতিবাদকারীদের উস্কে দিচ্ছে। ’
শনিবারে বেনগাজিতে এনটিসির নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এনটিসির অন্য এক নেতা বলেন, কে বা কারা প্রতিবাদকারীদের উস্কে দিচ্ছে? কাপুরুষেরা হাত বোমা এবং পাথর দিয়ে এনটিসির কার্যালয় ভেঙ্গে ফেলেছে। তারা আবদুল জলিলের দিকে পর্যন্ত বোতল ছুড়ে মেরেছে।
আবদুল জলিল আরও বলেন, আমাদের অবশ্যই উচিত আবদেল হাফিজ ঘোঘাকে পুরস্কৃত করা। তিনি তার নিজের আগে দেশকে ভালোবাসেন।
উল্লেখ্য, প্রয়াত লিবীয় নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির বিরুদ্ধে গত বছর এই বেনগাজি শহর থেকেই বিদ্রোহ শুরু হয়। সেসময় গাদ্দাফি এই বিদ্রোহের পেছনে কিছু মানুষের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু সেসময় পশ্চিমা গণমাধ্যমসহ পশ্চিমা নেতারা এনটিসিকে সমর্থণ দিয়ে অবশেষে বিনাবিচারে গাদ্দাফিকে হত্যার মাধ্যমে গাদ্দাফির পতন ঘটান। কিন্তু এখন আবার একই অভিযোগ করা হচ্ছে দেশটির নতুন করে প্রতিবাদী হয়ে ওঠা মানুষদের বিরুদ্ধে। আর এবারের অভিযোগ কর্তা স্বয়ং এনটিসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১২