ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আন্তর্জাতিক

হরমুজের দিকে ত্রিদেশিয় যুদ্ধজাহাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:২০, জানুয়ারি ২৩, ২০১২
হরমুজের দিকে ত্রিদেশিয় যুদ্ধজাহাজ

তেহরান: মার্কিন রণতরী আব্রাহাম লিঙ্কনের নেতৃত্বে বৃটেন এবং ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ এখন হুরমুজ প্রণালীর দিকে যাত্রা করেছে। হরমুজ প্রণালী বন্ধে ইরানের দেওয়া হুমকির বিপরীতে হুমকি স্বরুপ এই যুদ্ধ জাহাজ পাঠানো হয়েছে।



ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রকল্প চালাচ্ছে এবং পরমাণু অস্ত্রে সমৃদ্ধ হচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো বহুদিন থেকেই। কিন্তু সম্প্রতি এই অভিযোগ বেশ তীব্র হয়ে দাড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির প্রেক্ষিতে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দেয়। হুরমুজ প্রণালী বিশ্বের তেলবাহী জাহাজ চলাচলের অন্যতম রাস্তা। পুরো হরমুজ প্রণালীর প্রস্থ মাত্র ২১ মাইল। ইরান এই হুমকির দেওয়ার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং ফ্রান্স তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে।

সোমবার ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠক থেকে ইরানের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়াও দেশের বাইরে থাকা ইরানের  সম্পদ এবং অর্থ জব্দকরণ বিষয়েও সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

হরমুজ প্রণালী থেকে প্রতিদিন ১৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল আসা যাওয়া করে বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের অপরিশোধিত তেলের মোট ৩৫ শতাংশ এই প্রণালী দিয়ে আসা যাওয়া করে। ইরান এবং ওমানের মধ্যে এই প্রণালীটি অবস্থিত।

গত মাসে ইরানের নৌ-বাহিনীর কমান্ডার অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সায়ারি বড়াই করে বলেন, ‘হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়া আমাদের জন্য অনেকটা একগ্লাস পানি খাওয়ার চেয়েও সহজ। ’

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু শক্তিচালিত ৯০ টি বিমান বহনে সক্ষম ক্যারিয়ার অ্যাডমিরাল আব্রাহাম লিঙ্কন পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করেছে গতকাল। সঙ্গে আছে এইচএমএস আরগায়েল নামের একটি ব্রিটিশ ডেস্ট্রয়ার। পুরোপুরি যুদ্ধ সাজে রণতরী নিয়ে হরমুজের দিকে এগুচ্ছে তারা।
 
দীর্ঘদিন ধরেই পারস্য উপসাগরে স্থায়ীভাবে এই তিন দেশের সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। দ্য ফ্লোটিলা ইরানের উপকূলীয় সীমারেখায় প্রবেশের অপেক্ষায় আছে।
 
যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এইচএমএস আরগ‍ায়েল এবং একটি ফরাসি যুদ্ধ জাহাজ ওই অঞ্চলে যাত্রীবাহী জাহাজের নিরাপত্তার পাশাপাশি তেলবাহী জাহাজের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য মজুদ আছে। পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যই এই রণতরী পাঠানো হয়েছে। এই অঞ্চলে ১৯৮০ সাল থেকেই রাজকীয় নৌ-বাহিনীর জাহাজ টহল দিয়ে আসছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।