ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তালেবান সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন যারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
তালেবান সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন যারা

মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধানমন্ত্রী করে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে জায়গা পেয়েছেন ডজনখানেকের বেশি মন্ত্রী।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নামও ঘোষণা করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষণা করে তালেবান।  

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আখুন্দ। তিনি তালেবানের শক্তিশালী সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা ‘রেহবারি শুরা’ বা নেতৃত্ব পরিষদের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।  এর আগে তালেবান ১৯৯৬-১৯৯১ সালে আফগানিস্তানে ক্ষমতায় থাকার সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।  

১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের পর তালেবানের সরকারপ্রধান হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে, সেই মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছে। তিনি তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত নেতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি।  

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছেন বারাদার। কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার আগে তিনি ছিলেন কাতারে। পরে দেশে ফেরেন।

তালেবান সরকারে দ্বিতীয় উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পেছেন আব্দুল সালাম হানাফি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে আমির খান মুক্তাকীকে।  

এই সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে। যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসী তালিকায় রয়েছে তার নাম। এফবিআইর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় মঙ্গলবারও দেখা গেছে সিরাজউদ্দিন হাক্কানির নাম। তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে কিংবা গ্রেফতারে তথ্য দিলে ৫০ লাখ ডলার পুরস্কারের ঘোষণা করেছে এফবিআই।  

সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ ইয়াকুব। তিনি তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। এত দিন এই গোষ্ঠীর সামরিক কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।  

অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারের আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন আব্দুল হাকিম শারি। অর্থমন্ত্রী (ফিন্যান্স) হিসেবে মোল্লা হেদায়েতুল্লাহ বাদরিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অর্থনীতিবিষয়ক (ইকোনমি) মন্ত্রী করা হয়েছে কারি দীন মোহাম্মদ হানিফকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর করা হয়েছে হাজি মোহাম্মদ ইদরিসকে।

এই সরকারের সীমান্ত ও উপজাতিবিষয়ক মন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা নুরুল্লাহ নূরকে। সরকারের গোয়েন্দা শাখার দায়িত্ব পেয়েছেন মোল্লা আব্দুল হক ওয়াসিক।  

তালেবান সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী হয়েছেন মৌলভী নাজিবুল্লাহ হাক্কানি, উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী করা হয়েছে আব্দুল বাকি হাক্কানিকে। শরণার্থী ও প্রত্যাবাসনমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন হাজি খলিল উর রহমান হাক্কানি।  

জ্বালানি ও পানিমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা আব্দুল লতিফ মনসুর। পল্লিমন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা ইউনুস আখুনজাদাকে। গণপূর্তমন্ত্রী করা হয়েছে মোল্লা আব্দুল মান্নান ওমারিকে।  

খনি ও পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা মোহাম্মদ ইশা আখুন্দ। সংস্কৃতি ও তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন মোল্লা খাইরুল্লাহ খয়েরখা। তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদকে সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী করা হয়েছে।

এর আগে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল তালেবানের দখলে যায় গত ১৫ আগস্ট। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সবশেষ প্রদেশ পানশির নিয়ন্ত্রণে নেন তালেবান সদস্যরা। এর মধ্য দিয়ে পুরো দেশটির তাদের দখলে যায়। আর ২০ বছরের আফগান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে স্থানীয় সময় ৩০ আগস্ট রাতে কাবুল ছাড়ে শেষ মার্কিন সেনা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
জেএইচটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।