যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং দীর্ঘ ৯০ মিনিট ফোনে কথা বলেছেন। দীর্ঘ সাত মাস পর স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বের প্রভাবশালী এই দুই দেশের প্রধানের কথা হলো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম দুই দেশের অর্থনীতির প্রতিযোগিতা যেন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি না করে, এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হয়।
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফোনালাপে আলোচনা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গিতে ভিন্নতা রয়েছে, সেগুলো নিয়েও কথা হয়।
ঊর্ধ্বতন এক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনায় উঠে আসে অর্থনৈতিক সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতি।
বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে প্রতিযোগিতা দায়বদ্ধভাবে পরিচালনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চলমান প্রচেষ্টার অংশ ছিল এই আলোচনা। আলোচনায় ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তথা বিশ্বে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী আগ্রহের ওপর জোর দেন তিনি।
শি জিন পিংকে উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, স্থিতিশীলতার জন্য যত দ্রুত সম্ভব চীন ও মার্কিন সম্পর্ককে উন্নয়ন করতে হবে। সাহসিকতার সঙ্গে এসব বিষয় সমাধান করতে হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, উভয় পক্ষ যদি ‘মূল উদ্বেগ’ গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে, তাহলেই কেবল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কূটনৈতিক অগ্রগতি হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাবে।
দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব ভুলে সম্পর্ক যাতে উন্নত করা যায়, সে বিষয়টি উঠে আসে দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনায়। তবে আফগানিস্তানে চলমান তালেবান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, বিবিসি, রয়টার্স-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সবশেষ ক্ষমতাধর এই দুই দেশের প্রধানের মধ্যে কথা হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
জেএইচটি