সেই ১৯৬৯ সালে অডিও সিস্টেম চালু হয়েছিল ট্রেনে। সে সময় হাওড়া-দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসে বাজানো হতো সেতার, সরোদ, গিটারের সুর।
এর অনেকদিন পর মিউজিক সিস্টেম পায় লোকাল ট্রেনের যাত্রীরা। তবে এবার বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হচ্ছে টিভি। পূর্বাঞ্চলে প্রথমবারের মতো এ সুযোগ দিচ্ছে হাওড়া ডিভিশন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রবীন্দ্র সংগীত বা নজরুল গীতি শুনে যাত্রীদের মন ভরছে ঠিকই। কিন্তু রেলের কোষাগার পাচ্ছে না পর্যাপ্ত অর্থ। কয়েক বছর আগে লোকাল ট্রেনে বিজ্ঞাপনবিহীন অডিও সিস্টেম লাগানো হয়েছিল। তাও যাত্রীদের বিনোদনের কথা বিবেচনায় রেখে। কিন্তু চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা এবার কাটাতে চায় কর্তৃপক্ষ। সেজন্যই লোকাল ট্রেনের প্রতি কামরায় বসানো হবে টিভি।
তবে এবার টিভিতে শুধু সামাজিক বার্তা নয়, প্রচার হবে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনও। আর এতেই রেলের কোষাগারে আসবে টাকা।
হাওড়া ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার মণীশ জৈন বলেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে হাওড়ার লোকাল ট্রেনের কামরায় টিভির দেখা মিলবে। এজন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। যেসব অনুষ্ঠান টিভিতে প্রচার করা হবে, সেগুলো প্রি-রেকর্ডেড থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে ভারতের মুম্বাইয়ের লোকাল ট্রেনগুলোতে প্রথম টিভি চালু করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, রেলের নতুন উদ্যোগ যাত্রীদের বিনোদন দেবে। একইসঙ্গে টিভিতে বিজ্ঞাপন চালিয়ে করোনাকালে কিছুটা আয়ও বাড়াতে পারবে রেলওয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এনএসআর