বিশ্বের চরম দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তান অন্যতম। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই ভঙ্গুর ছিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, তালেবানরা ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে নগদ অর্থের সঙ্কটের পড়ে আফগানরা। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক তহবিলে বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আফগানিস্তানজুড়ে অনেক ব্যাংক বন্ধ ছিল এবং অনেক স্বয়ংক্রিয় টেলর মেশিন নগদ অর্থ বিতরণ করছিল না।
এখনও দেশটির অনেক ব্যাংক বন্ধ রয়েছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরো দমে চালু হয়নি। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করেছে তালেবান। এখন অর্থ সঙ্কটে পড়ে আফগানিস্তানের অনেক বাসিন্দা তাদের প্রতিদিনের ব্যবহার করা আসবাবপত্র বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে খাবার তুলে দিতেই তারা এমনটি করছেন।
কাবুলের চামন-ই-হোজরি পাড়ায় চারটি কারপেট বিক্রি করার জন্য নিয়ে এসেছেন সেখানকার বাসিন্দা শুকরুল্লাহ। তার মতো আরও অনেকেই সেখানে রেফ্রিজারেটর, কুশন, পাখা, বালিশ, কম্বল, রৌপ্যের জিনিসপত্র, পর্দা, বিছানা, গদি, রান্নার জিনিসপত্র এবং তাক দিয়ে ভরা আরও অনেক ব্যবহৃত আসবাবপত্র বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন। বাসায় খাবার সংগ্রহের মতো অর্থ না থাকায় তারা বাধ্য হয়েই নিজেদের ব্যবহার্য এসব আসবাবপত্র বিক্রি করছেন।
শুকরুল্লাহ বলেন, তিনি কারপেটগুলো আফগান মুদ্রায় প্রায় ৪৮ হাজারে কিনেছিলেন। কিন্তু এখন সেগুলো ৫ হাজারেও বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজার বিশ্লেষক এডওয়ার্ড মোয়া বলছিলেন, আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে তালেবান এখনও স্বীকৃতি পায়নি। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ফান্ড তারা ব্যবহার করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ সতর্ক করেছিল যে, ২০২২ সালের মাঝামাঝিতে আফগানিস্তানের ৯৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
জেএইচটি