অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরমাণু-শক্তিচালিত সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি করেছে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ফ্রান্সের কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
কূটনৈতিক উত্তেজনা কমাতে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আধা ঘণ্টার বেশি টেলিফোনে কথা বলেছেন। আগামী অক্টোবর মাসের শেষে ইউরোপে বৈঠকে বসার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন তারা।
টেলিফোনে কথা বলার পর এক যৌথ বিবৃতিতে দুই প্রেসিডেন্ট বলেন, মিত্র দেশগুলোর মধ্যে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্স ও ইউরোপের সংযুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে পরমাণু-শক্তিচালিত সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি করায় ওয়াশিংটন এবং ক্যানবেরা থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এখন ওয়াশিংটনে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে ক্যানবেরার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটবে কিনা তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি।
বিবিসির ওয়াশিংটন সংবাদদাতা নোমিয়া ইকবাল বলেছেন, এটি আমেরিকানদের ‘ক্ষমা ভিক্ষা না করে ক্ষমা চাওয়া’র একটি উদাহরণ। মানে যে প্রক্রিয়ায় চুক্তি হয়েছে সেজন্য ক্ষমা চাওয়া, কিন্তু যে চুক্তি করা হয়েছে তার জন্য নয়।
তবে যৌথ বিবৃতির বক্তব্য সাদামাটা হলেও একে অর্থপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। সাধারণত এ ধরনের টেলিফোন আলাপের পর প্রত্যেক দেশ পৃথক বিবৃতি দেয়। এবার যৌথ বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট তিক্ততা ভুলে ঐক্যবদ্ধ হবার বার্তা দিতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব মোকাবিলার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে এইউকেইউএস চুক্তিকে। এই চুক্তির কারণে ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে করা অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। যার আওতায় ৩৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ১২টি সাবমেরিন তৈরি করার কথা ছিল।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
এনএসআর