গ্রামজুড়ে নারীদের বসবাস। কোনো পুরুষ সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার শ্যামবুরু এলাকার উমোজা গ্রামে শুধু নারীদের বাস। পুরুষশূন্য গ্রামে প্রতি বছর কোনো না কোনো নারী সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। ফলে বংশবৃদ্ধিও হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ সালে ১৫ জন স্থানীয় আদিবাসী নারী ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে বৃটিশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। এরপর সমাজচ্যুত ওই নারীরা উমোজা গ্রামে বসতি গড়ে তোলেন। এরপর সেখানে আসতে থাকেন পুরুষ নির্যাতনের শিকার হওয়া অন্য নারীরা। এখন সেখানে প্রায় ২৫০ জন নারীর বসবাস।
ওই নারীদের কেউ ধর্ষণের শিকার, কেউ বাল্যবিয়ে, কেউ পারিবারিক সহিংসতার শিকার। এখন তারা সবাই মিলে সেখানে নারীদের সমাজ গড়ে তুলেছেন।
ওই নারীদের একজন জেন। নিজের ভয়ংকর অভিজ্ঞতার বিষয়ে তিনি বলেন, মাঠে স্বামীর সঙ্গে কাঠ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় স্বামীর সামনেই গুর্খা ইউনিফর্ম পরা তিনজন তাকে ধর্ষণ করে।
জেন বলেন, ওই ঘটনায় আমি খুব লজ্জিত। এ কারণে গ্রামের অন্য লোকদের কাছে বিষয়টি বলতে পারিনি। নিজের মাঝে সেই কষ্টের বিষয়টি চেপে রেখেছি। এ ঘটনায় কোনো বিচারও পাইনি।
উমোজা গ্রামের নারীরা গ্রাম থেকে বেরিয়ে নিজের পছন্দের পুরুষকে খুঁজে নেন এবং ওই ব্যক্তির সন্তান জন্ম দেন। তবে তারা একে অপরকে বিয়ে করেন না।
সন্তানদের পড়াশোনার জন্য সেই গ্রামে এখন স্কুল গড়ে উঠেছে। আছে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। সেখানকার একাধিক দর্শনীয় স্থান দেখতে যান পর্যটকরা। তাদের থেকে পাওয়া অর্থে উমোজা গ্রামের অনেকের জীবিকা চলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২১
জেএইচটি