গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনে ২০৩০ সালের মধ্যে বন ধ্বংস বন্ধ করে নতুন বনায়নের অঙ্গীকার করেছে যেসব দেশ তার মধ্যে একটি ব্রাজিল।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, ব্রাজিলে অ্যামাজনের বন ধ্বংস করার মাত্রা গত ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
অ্যামাজনের বনে প্রায় ৩০ লাখ প্রজাতির গাছপালা এবং প্রাণী বসবাস করে। এছাড়াও সেখানে রয়েছে প্রায় ১০ লাখ আদিবাসীর বসবাস। এই বন বিশ্বের কার্বন ধারনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করছে।
ব্রাজিলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে অ্যামাজনের বনের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা ধ্বংস করা হয়েছে। এটি ২০০৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি।
দেশটির পরিবেশমন্ত্রী হোয়াকিম লেইট বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটি একটি বড় সমস্যা। এই অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের আরও শক্ত হতে হবে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যামাজনের বন ধ্বংসের মাত্রা প্রেসিডেন্ট জেয়ার বলসোনারোর শাসনকালে বেড়েছে। বন সাফ করে কৃষিকাজ এবং খনি শিল্প গড়ে তোলার পক্ষে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে ব্রাজিলের মহাশূন্য সংস্থার সঙ্গেও তার বিবাদ হয়েছে।
তবে গ্লাসগো সম্মেলনে অন্য দেশের সঙ্গে ব্রাজিলও অঙ্গীকার করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে তারা বন উজাড় রোধ করে নতুন বনায়নের পদক্ষেপ নেবে। অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি খাত থেকে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি ডলার দান। এর কিছু অর্থ দেওয়া হবে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। যাতে তারা বনের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পারে, বন্যপ্রাণী রক্ষা করতে পারে এবং আদিবাসীদের সাহায্য করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২১
এনএসআর