সিরিয়ার একটি কারাগারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনী ও আইএসআইএল (আইএস) যোদ্ধাদের মধ্যে চলমান যুদ্ধে কমপক্ষে ১২০ জন নিহত হয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এ হামলায় 'অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী, কারারক্ষী ও সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীসহ অন্তত ৭৭ জন আইএস সদস্য ও ৩৯ জন কুর্দি যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
আইএসআইএল শুক্রবার কারাগার ভাঙার দায় স্বীকার করেছে। শনিবার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাসাকেহ শহরের কুর্দি পরিচালিত ঘওয়েরান কারাগারে হামলা চালানোর সময় সশস্ত্র ব্যক্তিরা কারাগারে অনুপ্রবেশ করছে এবং দলটির কালো পতাকা উত্তোলন করছে।
এই যুদ্ধে কমপক্ষে সাতজন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে এসওএইচআর।
কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) রোববার জানিয়েছে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সেনাদের সহায়তায় তারা অবরোধ কঠোর করেছে এবং তাদের ১৭ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এসডিএফ প্রাথমিকভাবে বলেছিল যে তারা ব্রেকআউটটি ব্যর্থ করেছে এবং কাছাকাছি আশ্রয় নেওয়া ৮৯ জন যোদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে পরে স্বীকার করেছে যে বন্দীরা সুবিধাটির কিছু অংশ দখল করে নিয়েছে।
এসডিএফ-এর একজন মুখপাত্র আরও বলেন, মিলিশিয়ারা পালিয়ে যাওয়া ১০৪ জন বন্দীকে পুনরায় আটক করেছে, তবে যারা পালিয়ে গেছে তাদের মোট সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি।
আক্রমণকারীরা কারাগারের ফটকের কাছে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়, এ ঘটনা কয়েক ডজন বন্দীকে ঘাওয়েরান জেলায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।
উত্তর ও পূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন সহায়তায় পরাজিত হওয়ার পর হাজার হাজার সন্দেহভাজন আইএস সদস্যকে আটক রাখা হয়েছে।
ওই কারাগারে কতজন বন্দী ছিল তা স্পষ্ট নয়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হিসাব অনুযায়ী, এসডিএফ-এর কাছে আইএসআইএল সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে প্রায় ১২ হাজার পুরুষ ও বালক রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ৫০টি দেশের ৪ হাজার মানুষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
নিউজ ডেস্ক