বিশ্বের অন্তত ৫৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের সাম্প্রতিকতম রূপ। বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণ ক্ষমতা এর প্রথম সংস্করণ থেকে বেশি।
মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) এই আশঙ্কার কথা শোনালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।
দুই মাসেরও বেশি সময় আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মিলেছিল। এরপর ঝড়ের গতিতে তা বাকি বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ডেল্টাকে সরিয়ে প্রভাব বিস্তার করে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট।
এর মধ্যে জানা গেছে, ওমিক্রনের ‘সেকেন্ড জেনারেশন ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে পরিচিত ‘বিএ.২’-এর সংক্রমণ ক্ষমতা ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়েও বেশি, যা বিশ্বের অন্তত ৫৭টি দেশে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে হু। আগামী দিনে এটি আরও বাড়বে।
বিজ্ঞানীদের দাবি, যদি কেউ আগেই মৃদু উপসর্গসহ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলেও যে তিনি রেহাই পাবেন তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ, শরীরে ভবিষ্যতে সংক্রমণ এড়ানোর মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি না থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়ার করা এক নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।
হু-এর বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভান কেরখোভে বলেন, ‘বিএ.২’ সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এই রূপটি ওমিক্রনের প্রাথমিক রূপের চেয়ে বেশি সংক্রামক। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
এনএসআর