ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
সোমবার মস্কোয় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউক্রেনের অচলাবস্থা নিরসনে আগামী দিনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুতিনও বৈঠকে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বরাবরই ইউক্রেন আক্রমণ করার কোনো পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো। তবে পশ্চিমা শক্তিগুলো সংঘাতের আশঙ্কা নিয়ে ক্রমাগত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।
রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সামরিক বাহিনীর ৭০ শতাংশই সীমান্তে জড়ো করেছে রাশিয়া।
সোমবার ওয়াশিংটনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠকের পর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে তাহলে জার্মানিতে রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও নিষেধাজ্ঞায় সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। মঙ্গলবার দ্য টাইমস পত্রিকায় তিনি লিখেছেন, যুক্তরাজ্য এই অঞ্চলে রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) যোদ্ধা এবং রয়্যাল নেভির যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের কথা বিবেচনা করছে।
পশ্চিমা দেশগুলো এরই মধ্যে মস্কোর বেশ কয়েকটি দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে, যার মধ্যে রয়েছে ন্যাটো প্রতিরক্ষা জোট ইউক্রেনকে যেন সদস্য পদ না দেয় এবং পূর্ব ইউরোপে সামরিক উপস্থিতি কমিয়ে দেয়।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ম্যাক্রোঁর কিছু প্রস্তাব 'আরও যৌথ পদক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করতে পারে', তিনি বলেন, 'সম্ভবত এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তারা খুব তাড়াতাড়িই আছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মঙ্গলবার কিয়েভে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
নিউজ ডেস্ক