তার ডান হাতে ধারালো একটি অস্ত্র। আর বাম হাতে ঝুলছে স্ত্রীর কাটা মাথা।
ভয়ঙ্কর এমন দৃশ্যের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। নৃশংস এ ঘটনা ইরানের আহবাজ শহরের।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, মোনা হায়দারি নামে ১৭ বছরের এক নারীকে পরকীয়া সন্দেহে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী ও দেবর মিলেই এই নৃশংস কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়। ইতোমধ্যে মধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে দুইজনকে।
এ ঘটনা রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছে গোটা তেহরানে। এমনকি দেশটির নারী নিরাপত্তা এবং গৃহ নির্যাতন নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকে। পাশাপাশি নারীদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর দাবিও উঠেছে। গোটা ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ করা হয়, তার জন্য ইতোমধ্যেই আসরে নেমেছেন ইরানের নারী কল্যাণ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এমন মর্মান্তিক ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তার জন্য কড়া আইন আনার চিন্তা-ভাবনাও চলছে। এখন ইরানে ১৩ বছরে মেয়েদের বিয়ে করার আইন রয়েছে। গৃহ নির্যাতন রুখতে এই বয়স বাড়ানোর যান কিনা, সে বিষয়টিও ভেবে দেখা হবে।
এদিকে, কাটা মাথার ওই ভিডিও দেখে শিউরে উঠে অনেকেই এ ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন।
জানা গেছে, ১২ বছর বয়সে অর্থাৎ নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ে হয়েছিল মোনা হায়দারির। তিন বছরের একটি ছেলেও ছিল তার। কিন্তু এরপর পরকীয়া সন্দেহে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারের শিকার হন মোনা হায়দারি। আর শেষ পর্যন্ত ঘটল এই মর্মান্তিক পরিণতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
নিউজ ডেস্ক