কাবুল: আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় জালালাবাদ শহরের বিমানবন্দরে এক আন্মঘাতি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
শহরের নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটির প্রবেশমুখে সোমবার সংঘটিত এই বিস্ফোরণে কমপক্ষে আরও ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তপক্ষ।
আফগানিস্তানে বিদেশী সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত বিদ্রোহী তালেবান যোদ্ধারা এই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহে কাবুলের নিকটবর্তী বাগরাম বিমান ঘাঁটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনারা পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দিলে আফগানিস্তানে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পরে।
এর জের ধরে আফগানিস্তানে এর পর থেকে বিভিন্ন সহিংসতায় ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে কয়েক ডজন লোক নিহত হওয়া সহ বহু লোক আহত হয়েছেন।
প্রাদেশিক পুলিশ কর্মকর্তা ওবায়দুল্লা তালওয়ার বলেন, সোমবারের হামলায় হতাহতরা প্রায় সবাই বেসামরিক ব্যক্তি। তবে হামলার পরও বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিমানবন্দরটিকে সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারের পাশাপাশি বেসামরিক উড্ডয়নের কাজেও ব্যবহার করা হয়।
এদিকে আফগান র্কতৃপক্ষ এখন ২৫ বছর রয়সী এক পুলিশ কর্মকর্তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। শনিবার কাবুলের সুরক্ষিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরে ন্যাটোর দুই জৈষ্ঠ সামরিক অফিসারকে গুলি করে হত্যার জন্য এই পুলিশ কর্মকর্তা দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই হত্যাকান্ডের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন আফগানিস্তানের সকল সরকারি দপ্তর থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয়।
আফগানিস্তানের ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী ফ্রান্স ও জার্মানি তাদের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের পদক্ষেপকে অনুসরণ করে আফগানিস্তানের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের নাগরিক বেসামরিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ সবাইকে শান্ত হওয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
রোববার দেওয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি কোরআন অবমাননার ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব প্রকাশ করে জনগণকে শান্ত থাকার আহবান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১২