দামেস্ক : অব্যাহত সরকারবিরোধী আন্দোলন ও সহিংসতার মধ্যেই রোববার সিরিয়ায় গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। বিরোধীদলগুলোর বর্জন ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অব্যাহত দমন-পীড়নের মধ্যেই রোববার ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। সমগ্র সিরিয়া জুড়ে ১৩ হাজার ৮৩৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়। সিরিয়ার নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটির ১৮ বছরোর্দ্ধ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার কথা।
এই গণভোটের মাধ্যমে কাগজে কলমে সিরিয়ায় প্রায় পাঁচ দশকব্যাপী ক্ষমতাসীন বাথ পার্টির একদলীয় শাসন ব্যবস্থার অবসান হলো বলে জানায় সংবাদমাধ্যমে।
সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে সরকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর দমনাভিযানের মুখে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহল।
২০১১’র মার্চ মাস থেকে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। এর প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এক ফরমান জারি করে গণভোট আয়োজনের অঙ্গীকার করেছিলেন।
সিরিয়ার সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে বিরোধীরা দাবি করলেও সরকার তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসী চক্র এই সহিংসতার পেছনে দায়ী।
ভোটাররা গণভোটে নতুন সংবিধান অনুমোদন করলে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে সিরিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে অঙ্গীকার করেন বাশার আল আসাদ।
বাংলাদেশ সময় : ১২৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১২