নয়া দিল্লি: মঙ্গলবার ২৮ ফেব্রুয়ারি সারা ভারত জুড়ে শ্রমিক ধর্মঘট শুরু হয়েছে। প্রধান প্রধান ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ডাকে শুরু হওয়া ২৪ ঘণ্টার এই ধর্মঘটে সমগ্র ভারত জুড়ে পরিবহন, আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম এবং ডাক পরিবহন ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রধান প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন সহ ভারতের অন্যান্য ৫ হাজার অ-তালিকাভুক্ত শ্রমিক সংগঠনগুলোকে ধর্মঘট স্থগিত করার আহবান জানান। তবে ট্রেডইউনিয়নগুলো তার আহবান প্রত্যাখান করায় স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এই ধর্মঘট শুরু হয় মঙ্গলবার।
সরকার সমর্থিত কয়েকটি ইউনিয়ন ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছে না। কংগ্রেস সমর্থিত ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস’ বলেছে তারা ধর্মঘটে অংশ নেবে না।
ভারতের ইউপিএ জোট সরকারের অংশীদার অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রিত ট্রেড ইউনিয়ন গুলোও ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে না। পশ্চিম বঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস নিয়ন্ত্রিত ‘ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস’ও ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছে না।
ধর্মঘটে যাওয়া ট্রেড ইউনিয়নগুলো ভারতের বিভিন্ন অসংগঠিত শ্রম খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা তহবিল , শ্রম আইনের সঠিক প্রয়োগ এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি দাবি জানায়।
ধর্মঘটের প্রভাবে প্রধান প্রধান বানিজ্যিক ও সেবা খাত, যেমন-ব্যাংকিং, ডাক এবং বন্দর পরিচালনা ইত্যাদি ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়া ইস্পাত ও জ্বালানি খাতে ধর্মঘটের প্রভাবে উৎপাদন হ্রাস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ভারতের বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার কার্যক্রমে ধর্মঘটের কোন প্রভাব পড়বে না বলে জানা গেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ট্রেড ইউনিয়ন ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার কোন ঘোষণা দেয়নি। ধর্মঘটের কারণে ভারতের রেল পরিবহন ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হতে পারে ।
ভারতের কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা সহ ভারতের বাম প্রভাবিত রাজ্যগুলোতে ধর্মঘটের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়:১১৫০ ঘণ্টা, ফেব্রয়ারি ২৮, ২০১২