ঢাকা: বলকান রাষ্ট্র সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য পদ পেতে এক ধাপ এগিয়ে গেল। ২০০৯ সালে আবেদন করার পর শর্ত অনুযায়ী রাজনৈতিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে কেবল সদস্য পদের জন্য প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করল দেশটি।
২৭ সদস্যের জোট ইইউ’র নেতারা গত বৃহস্পতিবার সার্বিয়ার সদস্য পদপ্রার্থিতার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ইইউ’র এই সিদ্ধান্তকে দেশটির জন্য এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে কারণ মাত্র ১৩ বছর আগেও ন্যাটো সেখানে বোমা ফেলেছিল।
ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ নেতাদের বৈঠকে জোটের প্রেসিডেন্ট হারমন্যান ভন রমপুই বলেন, ‘এটা সত্যিই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। আমি আশা করি, বেলগ্রেড (সার্বিয়ার রাজধানী) পশ্চিম বলকান রাষ্ট্রগুলোতে প্রতিবেশী সুলভ আচরণে উৎসাহদান অব্যাহত রাখবে। ’
উল্লেখ্য, যুদ্ধাপরাধী রাতকো ম্লাদিক এবং গোরান হাদজিককে আটকের পর ইইউ’র সদস্য পদ চেয়ে সার্বিয়ার করা আবেদন নিয়ে আলোচনা শুরু হয় ২০০৯ সালে। তারা আশা করছে, আগামী ডিসেম্বরে পূর্ণ সদস্য পদ পাবে।
প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত হয়েছে মূলত জার্মানির কারণে। জার্মানি চায় সার্বিয়ার অন্যান্য প্রদেশ এবং আংশিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কসভো প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে আরো আলোচনা করতে।
২০০৮ সালে স্বাধীন প্রজাতন্ত্রের স্বীকৃতি পায় কসভো। জার্মানি এবং ব্রিটেনসহ ইইউ’র ২২ সদস্য কসভোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে রাশিয়া এখনো স্বীকৃতি দেয়নি।
১৯৯০ এর দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিক ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া এবং কসভোর সঙ্গে যুদ্ধ বাধালে সার্বিয়া ইইউ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
১৯৯৯ সালে স্থানীয় আদিবাসী আলবানীয়দের রক্ষার জন্য ন্যাটো বাহিনী দেশটিতে বিমান হামলা চালায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৬ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১২