ঢাকা: আল কায়েদা এখন ইরাক ছেড়ে সিরিয়ার দিকে চলে যাচ্ছে। দেশটিতে চলমান সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ও অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিচ্ছে তারা।
সৌদি দৈনিক ওকাজে গত শুক্রবার প্রকাশিত একটি সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি।
তিনি বলেছেন, ‘আল কায়েদা এখন ইরাক ছেড়ে ক্রমান্বয়ে সিরিয়ায় স্থানান্তরিত হচ্ছে। সম্ভবত এরা সিরিয়া থেকে আবার লিবিয়া এবং মিশরের মতো যেসব দেশে এখনো অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে সেসব দেশে চলে যাবে। ’
মালিকি বলেন, ‘এই গতকালই সিরিয়াকে সন্ত্রাসী সমস্যা চক্রের বাইরে বলে বিবেচনা করা হত আর আজ তা সন্ত্রাস সমস্যার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। ’
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ থেকে সিরিয়াতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ দমাতে সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপে জাতিসংঘের হিসাব মতে প্রাণ হারিয়েছে সাড়ে সাত হাজার মানুষ।
সিরিয়া সরকার অবশ্য এসব হতাহতের জন্য সব সময় সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে দায়ী করে আসছে।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মালিকির আগে গত মাসে একই ধরনের তথ্য দিয়েছিলেন ইরাকের উপ-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, আসাদের বিরোধীদের জন্য ইরাক সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর ইরাকে আল কায়েদা বাশার সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আল কায়েদা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করলেও সিরিয়ার পরিবর্তনের পক্ষে বলেছেন মালিকি। গত মঙ্গলবার মালিকির কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইরাক সিরিয়ার পরিবর্তন সমর্থন করে। সেখানে পরিবর্তন জরুরি। পরিবর্তন ছাড়া পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে না।
তবে ঠিক কোন ধরনের পরিবর্তন চান এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি মালিকি। শুধু বলেছেন, সিরীয়দের আরো স্বাধীনতা পাওয়ার এবং প্রথম পদেক্ষপ হিসেবে একটি জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠনের অধিকার রয়েছে। তারপর আরব এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণের অধীনে একটি স্বাধীন নির্বাচন আনুষ্ঠান করা উচিতৎ বলে মনে করেন ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি।
আল কায়েদা ইরাক ছেড়ে চলে অন্যত্র চলে যাচ্ছে এ কথার মাধ্যমে প্রচ্ছন্নভাবে ইরাকে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতির দিকেই মালিকি ইঙ্গিত করছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১২