আফ্রিকার দেশ সুদানে বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৯ জন নিহত হন। এ ঘটনার পর শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানী খারতুমে বিক্ষোভে নেমে পড়েন সাধারণ মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আট মাস আগে ক্ষমতা হাতিয়ে নেওয়া সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সমাবেশ করতে বৃহস্পতিবার সুদানের রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো নাগরিক। বেসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু বিক্ষোভ রুখতে কঠোর নিরাপত্তা পদক্ষেপ দেয় সরকার। অনেকটাই বন্ধ করে দেওয়া হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এ অবস্থায়ও বৃহস্পতিবার বিকেলে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী একত্রিত হয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করে। নিরাপত্তাবাহিনী তাদের বাধা দেয়, একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাস জলকামানের ব্যবহার করে তারা। কিন্তু বাধা ডিঙিয়ে বিক্ষোভকারীরা এগিয়ে যেতে থাকলে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালায়। এ সময় ৯ জন নিহত হন।
সামরিক সরকার ক্ষমতা দখল করার পর এক ক্র্যাকডাউনের দেশটিতে ১৮ শিশুসহ ১১৩ জন নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা বলছে, এখনও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব আফ্রিকায় ঘটে যাওয়া এ সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
সেনা-অভ্যুত্থানের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল নাগরিকরা। স্বৈরাচারী নেতা ওমর আল-বাশিরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ডাক দেওয়ায় পরই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
মূলত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা যাতে সংঘবদ্ধ হতে না পারে, সে জন্য কঠোর এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। এতকিছুর পরও রাজধানী খারতুম ও পাশের দুটি শহরে লাখেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। পরে নিরাপত্তাবাহিনী সব শহরের মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ব্রিজ বন্ধ করে দেয়।
জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি চলতি সপ্তাহেই সুদানের সেনাবাহিনীকে সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ১ জুলাই, ২০২২
এমজে