যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে বলার পর দেশটির সিনিয়র একজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
সদ্য বরখাস্তকৃত যুক্তরাজ্যের ওই মন্ত্রীর নাম মাইকেল গোভ। তিনি বরিস জনসন সরকারের গৃহায়ন, সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
এএফপি বলছে, একের পর এক মন্ত্রীর সরে যাওয়ার মধ্যেই বরিস জনসনের ‘ডান হাত’ হিসেবে খ্যাত সিনিয়র ওই মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হলো। এতে করে যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক সংকট আরও গভীর হয়েছে।
মাইকেল গোভ ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত। ২০১০ সাল থেকে তিনি কনজারভেটিভ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পরে তাকে গৃহায়ন, সম্প্রদায় এবং স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনা বা ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে বরিস জনসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজও করেছিলেন মাইকেল গোভ।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রিসভা থেকে এরইমধ্যে ২৫ জনের বেশি পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করা ব্যক্তিরা পদত্যাগের আগে বরিসের ওপর অনাস্থার কথা প্রকাশ করেছেন। করোনার বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক পার্টি আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগের চাপে ছিলেন তিনি। যদিও তিনি পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উতরে যান।
সরকার পরিচালনায় বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়ে নিজ দল ও দলের বাইরে তার ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল দলের এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বরিস জনসন। এরপরও তাকে সরকারের ডেপুটি চিফ হুইপ করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।
এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আবারও ক্ষমা চান বরিস জনসন। তবে নিজ দল থেকেই এবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। যদিও বরিস জানিয়েছেন, তিনি তার দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, ৭ জুলাই, ২০২২
ইআর