বরিস জনসনের ব্রিটেনের গদি ছাড়ার ঘোষণার পর থেকে সেখানে বসতে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যে অন্যতম বর্তমান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও সাবেক চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার ঋষি সুনাক।
২০১৫ সালে রিচমন্ড কেন্দ্রের কনজারভেটিভ পার্টির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ঋষি সুনাক। এর আগে তিনি ব্রিটেনের অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিফ সেক্রেটারি ছিলেন। ২০২০ সাল থেকে ব্রিটেনের চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালন করছিলেন। গত মঙ্গলবার (৫ জুলাই) সে পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সাদা বর্ণের না হওয়ায় ব্রিটেনের রাজনৈতিকরা তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হয়ত দেখতে চাইবেন না। তবে, কনজারভেটিভ পার্টির নতুন প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে ঋষির জনপ্রিয়তা ব্যাপক।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ঋষি সুনাক। সাবেক চ্যান্সেলর অব এক্সচেকারকে রুখতে মরিয়া অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীরাও।
বিবিসির এক ভোট জরিপের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবারের (১৪ জুলাই) যে ভোট হয়েছে, তা থেকে ছিটকে গেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হলে কথা রাখবেন, এবং ক্ষমতা নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই ট্যাক্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবেন বলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস পেয়েছেন ৬৪ ভোট। সবচেয়ে বেশি ১০১ ভোট পেয়েছেন ঋষি সুনাক, পেনি মর্ডান্ট পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
সুয়েলা ব্র্যাভারম্যান ছিটকে পড়ার পর তিনি লিস ট্রাসকে সমর্থন করছেন বলে জানান। অপর দুই প্রার্থী সাবেক ইকুয়ালিটিস মিনিস্টার কেমি ব্যাডেনোচ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম তুগেনধাত কম ভোট পেলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিযোগিতা চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৫ জুলাই, ২০২২
এমজে