তাইওয়ানকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, চীন যদি অঞ্চলটিতে নজিরবিহীন আক্রমণ চালায় মার্কিন সৈন্যরা জবাব দেবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস’র এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন এ ডেমোক্র্যাট।
বিবিসির খবরে বলা হয়, দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানে চীন যদি আক্রমণ চালায় তবে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা রক্ষা করবে কিনা- সিবিএস’র সঞ্চালক বাইডেনকে প্রশ্ন করেন। উত্তরে তিনি বলেন, হ্যাঁ অবশ্যই করবে। যদি সত্যিই এমন নজিরবিহীন আক্রমণ হয় মার্কিন সৈন্যদের পাশে পাবে তাইওয়ান।
সিবিএস’র সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এক চীন নীতি সমর্থন করে তবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা মানে না।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাইডেনের সাক্ষাৎকার প্রকাশের পর হোয়াইট হাউস থেকে এ ব্যাপারে বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি নীতিতে তাইওয়ানের বিষয়ে সামরিক পদক্ষেপের অঙ্গীকার নেই। এতে কোনো পরিবর্তনও হয়নি।
তবে, বাইডেনের মন্তব্যে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে তার মতামতের স্পষ্ট প্রতিফলন হয়েছে। আর এতে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বেইজিং। তাদের বিবৃতিতে বাইডেনের সামরিক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির নিন্দা জানানো হয়েছে। বাইডেনের বক্তব্যের দৃঢ় বিরোধিতার কথাও বলা হয়েছে এতে।
বাইডেনের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কাছে কড়া অভিমত জানিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত মে মাসেও তাইওয়ানে চীনের আক্রমণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়। বাইডেন সে সময় জাপান সফরে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের সেনা তাইওয়ানে যাবে কিনা বা সামরিক দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়াবে কিনা প্রশ্নের উত্তরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, হ্যাঁ, আমরা সেই প্রতিশ্রুতি তাইওয়ানকে দিয়েছি।
তখনও বিবৃতি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়, দ্বীপরাষ্ট্রটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বদল হয়নি।
আগস্টে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে যান। এ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা দেখায় চীন। যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে বলেও মন্তব্য করে বেইজিং। পেলোসির সফর শেষ করার পরপরই তাইওয়ান প্রণালী ঘিরে সামরিক মহড়া শুরু করে চীন। সেই থেকে উত্তেজনার পারদ চড়ছেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২
এমজে