ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আনানি গ্রুপ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে আনানি গ্রুপ সাম্প্রতিক ছবিতে গৌতম আদানির সঙ্গে মমতা বন্দোপাধ্যায়

পশ্চিমবঙ্গের তাজপুর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমোদন পেয়েছে ভারতের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’র খবরে বলা হয়েছে, রাজ্যের মন্ত্রিসভা সোমবার তাজপুরে একটি গ্রিনফিল্ড গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির জন্য আদানি বন্দর ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে লেটার অব ইনন্টেন্ট জারির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। শিগগিরই এ অনুমতিপত্র আদানি গ্রুপের হাতে তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য নগর উন্নয়ন বললেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ অনুমোদন বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করেছে। দুই দফায় মোট ২৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ হবে এ অবকাঠামো খাতে।

খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ মেরিটাইম বোর্ড আদানি গোষ্ঠীকে লেটার অব ইনন্টেন্ট জারি করবে। তাজপুরে বন্দর নির্মাণে টেন্ডার ও ডিপিআর প্রসেস আবেদনে সর্বোচ্চ দরপত্র দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।

তাজপুরে রাজ্যের প্রথম সমুদ্র বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে প্রাথমিকভাবে ১৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে। পরবর্তীতে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। প্রত্যক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে ২৫ হাজার মানুষের।

চলতি বছরের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে গৌতম আদানি তাজপুর বন্দর নিয়ে আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছিলেন। এ ছাড়া হলদিয়া বন্দর নিয়েও আগ্রহ দেখিয়েছিল তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দরটি নির্মিত হবে। বন্দরে এক লাখ ডেড ওয়েট টন (ডিডব্লিউটি) ধারণক্ষমতার জাহাজ নোঙর করতে পারবে। এর মাধ্যমে পাল্টে যাবে রাজ্যের চেহারা। এ বন্দরের ওপর নির্ভর করে এ রাজ্যের দ্রুত শিল্পায়ন হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।